ছিল তো উর্বরা জমি
তিন ফসলী না-হোক, দু-ফসলী তো বটেই,
চাষাবাদ করলে স্বচ্ছন্দে না হোক
ওদের সংসার চলে যেতো কোনমতে।
সে আর হলো কৈ? বাদ সাধলো ইচ্ছায়।
যাই বলো, বাসনা জাগলে আঁশ না-মেটালে কি চলে?
দেখেছি ওরা ক’জনে মিলে উঠেপড়ে লেগে করলো কী?
সাতসকালেই ঝুড়ি কোদাল নিয়ে নেমে পড়লো
হৈ-হৈ করে আনন্দে খুঁড়লো মাটি
বেশি খুঁড়তে হয়নি, বড়জোর দশ হাত।
তাতেই কিস্তি মাত।
সাথে সাথে মাটির নিচ থেকে চুইয়ে উঠলো জল
একটু পায়ে মারাতেই সে মাটি গলে কাদা ও পাঁক।
ওদের ইচ্ছা পূরণ হলো, ডোবা খোঁড়া হলো দেখে
হাসতে হাসতে সকলে উঠেও এলো।
এবার? একটু সময়ের অপেক্ষা-মাত্র
আকাশে মেঘ গুরুগুরু ডেকে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি হলে
ধরে আনতে হবে না খালবিল থেকে
স্বেচ্ছায় পাঁকাল মাছ এসে ঠাই নেবে সে ডোবায়।
কচুরিপানা? সেও চলে আসবে জলের স্রোতে,
নয়তো জন্মাবে ওরা নিজেরাই সে ডোবায়।
হলোও তাই। উৎকৃষ্ট পরিবেশ, সেও জুটলো,
তারপর ওদের বংশবৃদ্ধি? নজর কাড়া বৈকি!
এখন তো দেখছি ওরা আনন্দে মারছে ঘাই।