বললো শাদা বক,
দেখেছে বর্ষার শেষে শুখা মরশুমে বিলে
চাষাবাদের অতিরিক্ত জল খালপথে সরে গেলে
চাষিরা সে জমিতে ফলাতো রবিশস্য
পোষ্যদের মুখে যোগাতে দুমুঠো অন্ন
এখন সে কাজে ঘটলো বহু বাধাবিঘ্ন।
উদ্বিগ্ন চাষিরা দেখেছে মনিব এসে বাজালে বাঁশি
মাছিদের মতো বহু মজদুর সেখানে ভিড় জমালো।
হুজুরের নির্দেশে তারা টেনে ধরলো রশি
পাড়াপড়শী দেখলো ক্ষমতা বলে
তারা করলো কী! বললো পাখি,
দেখেছে সীমানা চিহ্নিত করে খাল ভরাট করে
তারা বিলের জলের প্রবাহ বানচাল করলো।
শুখা মরশুমে বিলে জল যেটুকু রইলো
চাষের জন্য সেটুকু যথেষ্ট ছিল না।
ঘটলো বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ঘটনা।
জানা গেলো বিগত বছরগুলোতে
যে রবিশস্য ফলতো বিলের উর্বর জমিতে  
সেসব চাষের অযোগ্য হলো
পাঁকে পড়ে যে কয়টা মাছ বেঁচে রইলো  
ওরাও বাঁচার চেষ্টায় খাবি খেলো।
চাষিদের মাথায় হাত,
তারা বলতে শুরু করলো, ‘মন্দ বরাত!
মনিব যা ঘটালো হয়তো বেয়াদবি!’
এখন পরিত্রানের উপায় খুঁজতে
আবার খাল কাটা ছাড়া গত্যন্তর কী!