কে জানে, মানুষগুলো অভুক্ত ছিল কতদিন
প্রায় চল-শক্তিহীন,ছটফট করেছে খিদের জ্বালায়,
এক মুহূর্তও স্বস্তি পেল না বিধাতার অপ্রসন্নতায়।
অগ্নিদেব তাদের পেটের খাদ্যনালীতে করেছে তোলপাড়,
এই অনাহারের প্রকট অন্যদের বোঝা দায়।
এই মানুষগুলো এর থেকে মুক্তির ইচ্ছায়
সাতসকালে কাজের খোঁজে বেরলেও
বৈরী আবহাওয়া তাদের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালো
আকাশ ঢাকলো কালো মেঘে, ঝড়ের সম্ভাবনা প্রকট
বজ্রনাদ হুংকার দিলো থামাতে তাদের জীবন রথ।
বেতাল, তাল গাছ থেকে এই দৃশ্য দেখে আহ্লাদে আটখানা
ভাবলো, এবার মজলিশে মেটানো যাবে খানাপিনা।
গাছ থেকে তড়িঘড়ি নেমে এসে পাথরের স্তূপে বসে
গোগ্রাসে তাদের গিলতে শুরু করলো
তার দৌরাত্ম্য দেখেও তারা পালানোর পথ খুঁজে পেল না।
বাতায়নে উঁকি দিয়ে যারা দেখলো এই কাণ্ড খানা
তারাও নিশ্চুপ, একবারও তোলেনি শোরগোল
বরং পিতৃপক্ষেও দেবী দুর্গার অকালবোধনে দিলো শঙ্খধ্বনি
কি জানি, তখনি এই কাজে নেমে না-পড়লে
তাদের আনন্দে পরে যদি টানাটানি।
তারা অভুক্ত মানুষগুলোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে গেল
ভাবখানা এই মানুষগুলোকে বাঁচানোর তাদের কি দায়?
সেই দেশে 'মাৎস্যন্যায়' প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের কী আসে যায়।