বললো সে, ‘পড়েছি একী বিপাকে, স্বস্তিতে নেই মোটে
চেষ্টা করেছি খুব, তবু ঘুমোতে পারিনি রাতে
শেষ অবধি রাত কাটাতে হলো বসে’।
ভেবেছে কুট্টুস কাটুস করে, কে জানে কিসে,
কামড়ে সারা শরীর ফুলিয়ে দিয়েছে।
রাতে কষ্ট লাঘবের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
ভাবেনি মোটেই এভাবে রাত কাটাতে হবে
শৈশব থেকে অনিদ্রায় রাত্রিবাস ছিল না স্বভাবে।
তবে ভেবেছে এ হয়তো ছারপোকাদের উপদ্রব হবে
আরও ভেবেছে রাত পোহালে খুঁটিয়ে দেখতে হবে
সারারাত কিসের উপদ্রব বেড়েছে
আর ওদেরকে নজরে রাখতে তাকে ব্যস্ত রেখেছে,
মজলিসে সারা শরীরের রক্ত চুষে খেয়েছে কিসে?
ভেবেছে সকাল হলে মোক্ষম কীটনাশক ছড়িয়ে
ওদেরকে এখান থেকে চিরবিদায় দিয়ে
এই উপদ্রবের একটা হেস্তনেস্ত না-করলেই নয়,
ঘুমতে গেলে যেন উপর্যপরি আর কষ্ট না-হয়।
যেমন ভাবনা তেমনি কাজ, যেই-না হলো সকাল,
ঝাঁটা ও ঔষধ নিয়ে নেমেছে মেটাতে গায়ের ঝাল।  
হলো কী! বিছানা ঝাড়তে গিয়ে দেখেছে
স্তরে স্তরে শুধুই কি ধুলাবালি জমেছে?
বিছানার নিচে ছারপোকা কিলবিল করছে।
দেখেছে তক্তপোষের ফাঁকফোকরে ওরা বসতি গড়েছে
কেউ বিছানায় শুতে গেলে ওরা বেরিয়ে এসে
কুটকুট করে তার শরীর কামড়ে দিয়েছে।
ভেবেছে তাই ওদের নির্বংশ না করলেই নয়
সেজন্য মেনে নিতেই হবে যা খেসারত দিতে হয়।