ঘরে বাইরে,চায়ের দোকানে,ক্লাবে,পথেঘাটে,
ট্রেনে,বাসে যখন যেখানে যাই,জানো,অনেককে
আজকাল বলতে শুনি, ‘যাই কোথায়?’
‘ কি হলো ভাই? ’ -জিজ্ঞেস করলে একেবারে
নুয়ে পড়ে বলে, ‘ এ হলো মেরুদণ্ডের সমস্যা,
দীর্ঘকাল হলো মেরুদণ্ডে বেঁধেছে বাসা।
শুনেছি এখন এ সমস্যা কারো ব্যক্তিগত নেই
আর। ধীরে ধীরে এ সমস্যা ক্যানসারের মতো
ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের গভীরে।
জানো,এ রোগের উৎস খুঁজতে গিয়ে জেনেছি
সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে ‘দুর্বৃত্তায়ন’ ভাইরাস।
নিরীহ মানুষদের নাকি সহজে জোঁকের মতো
আঁকড়ে ধরে, রক্ত শুষে খায় যতক্ষণ না তারা
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে ঘরে। তারপর
সে আর যায় কোথায়? এক ধাক্কায় দুর্বৃত্তরা
‘বাবু’-এর পর্যায়ে উন্নীত হলো।
বলা ভালো, তারপর থেকে ওদের দেখলেই
অনেকে ভয়ে অকারণে নুয়ে পড়ে। এখন তো
মাথা নত করা নাকি পরিণত হয়েছে তাদের
অভ্যাসে।
তারপর? এ থেকেই নাকি জটিল মেরুদণ্ডের
রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। সমাজের মেরুদণ্ড
বেঁকে গেছে।
শুনেছি, বহু খোঁজাখুঁজি করেও নাকি আজও
পাওয়া যায়নি তার জুতসই কোনও দাওয়াই।
বলবো কী ভাই, এখন সময় এসেছে মেরুদণ্ড
কতটা বেঁকেছে গবেষণা করে দেখার।
সেটা জানার ইচ্ছায় সমাজ সচেতন নাগরিকরা
চারদিকে করছে তোলপাড়।শুনেছি, তারা নাকি
ভেবেছে, সমাজ বিজ্ঞানীদের ওপর এখন দেবে
ভার গবেষণা করে দেখার ‘অহেতুক মাথা নত
করার অভ্যাসের কারণে সমাজের মেরুদণ্ড টা
কতটা বেঁকে গেছে।
শোনো, এখন সূর্য ডুবুডুবু।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।
দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ।যাওয়ার আগে বলে যাই,এখন
সে জন্য চারিদিকে চলছে সমাজ বিজ্ঞানীদের
খোঁজাখুঁজি, 'এ সময় ক’জন এ বিষয়ে গবেষণা
করতে রাজি '।
জানো,এ বিষয়ে গবেষণার এটাই উৎকৃষ্ট সময়।
ক’জন গবেষকও এ বিষয়ে গবেষণায় দিয়েছেন
সম্মতি। দেখা যাক এবার গবেষণায় কী বেরিয়ে
আসে!