হত চেতনার দেশে
অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো শুয়ে বসে আছি,
পাশে বসে সঞ্জয়ের মতো
কে যেন দিচ্ছে এ যুগে অধুনা সংঘটিত
মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের মতো যুদ্ধের ধারাভাষ্য।
বহু অজানা রহস্য উন্মোচন করে
বলছে সে, ‘এ বিশ্বে এখন যে যুদ্ধ চলছে
সেটি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের চেয়ে কম কিসে?
চারদিকে ক্রমাগত উল্কাবর্ষনের মতো হচ্ছে
মিশাইল ও কামানের গোলাবর্ষন’।
এখন তার ফলশ্রুতি?
বিকট শব্দে হয়েছি বধির
বজ্রানলের মতো আলোর ঝলক কেড়ে নিয়েছে দৃষ্টিশক্তি।
বাক শক্তি? -সেও হারিয়েছি।
বলবো কী আর তাই অন্ধ ও বধির মতো কাটাচ্ছি।
ধারাভাষ্যকার এ যুদ্ধের ধারাভাষ্য দিয়ে
না-পেয়ে সারা, চেতনার উৎসে খোঁচা দিয়ে বলছে
‘দেখো, এলিয়েনরা দূর থেকে এ-দৃশ্য দেখে
এ গ্রহের মানুষদের করছে বিদ্রূপ
ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছে,
ধিক্, এ মানুষদের মনুষ্যত্ব কি পেয়েছে লোপ?
হায়রে, তাদের ঘনিয়ে আসছে এ কী দুর্দশা!
বাতাসে কান পেতে শোনো,
'ঢং ঢং করে বাজছে
এ বিশ্ব থেকে তাদের বিদায়ের ঘণ্টা।’
কী উদ্ভূত! সেও কি তারা শুনতে পায় না?
পাশে মাটিতে হাত বুলাতেই অনুভূত হলো
শত সহস্র মৃত শিশু ও নারীপুরুষ সেখানে শায়িত।
ব্যথিত হয়েছি খুব,
ক্ষোভও অন্তর থেকে ফোয়ারার মতো উদ্গীরিত হলো
মনে হলো অন্ধ ও বধির হয়ে
বেশ আছি হত চেতনার দেশে।