স্রষ্টা,আজকে তোমাকে তুলবো
আদালতের কাঠগড়ায়।বলছি,
এ কী দেখছি তোমার অদ্ভুত
কুহেলিকা!
বলো,তুমি তোমার সৃষ্টিকর্মের
তাগিদেই মৃগকে করেছো কেন
ক্রীড়নক?রোজ অপলক দেখি,
হরিণীর প্রতি প্রণয়ের আহ্বান
তাকে জানাতে হচ্ছে তোমারি
একান্ত ইচ্ছা পূরণে।
একবারও ভেবে দেখেছো কি
তাকে দিয়ে এই কাজ করালে
ক্রীড়নকের জীবনে দুর্দশা হচ্ছে
কতখানি?
স্রষ্টা,এ কী দুর্যোধনের পাশা
খেলা?চারদিকে চলছে শুধুই
যেন যাত্রাপালা।
বলি,জানতে ইচ্ছা করে কী
কারণে কেড়ে নিলে হরিণের
স্বাধীনতা?কেন তার জীবন
যৌবনে নিজ ইচ্ছা-অনিচ্ছা
কার্যকর করবার জন্য নেই
কোনও ব্যবস্থা?
স্রষ্টা বলো,মৃগনাভির থেকে
মাতাল করা কস্তূরীর এ গন্ধ
বাতাসে ছড়িয়ে কেন তাকে
ফেলছো দুর্দশায়?
বলো,ক্রীড়নক জানে কি এই
গন্ধের উৎস কোথায়?গন্ধের
মাদকতায় কেন তাকে উৎস
সন্ধানে ছুটতে হচ্ছে উদ্ভ্রান্তের
মতো,ঊর্ধ্বশ্বাসে?তুমি তখন
পাশা খেলছো উল্লাসে।
স্রষ্টা বলো,তার কী অপরাধে
তাকেই ছোটাচ্ছ মরীচিকার
পিছনে?বলবে কি,যৌবনে সে
শান্তি খুঁজে পায় কতখানি?
হরিণের দুর্দশা দেখে বিভ্রান্তি
ঘোচাতে তাকে আজ বলতে
ইচ্ছে করে,‘হরিণ,শুধু স্রষ্টার
প্রত্যাশা পূরণের লাগি' তুমি
ক্রীড়নক মাত্র।নিয়ত চলতে
হবে তাঁরই আজ্ঞা বাহকের
মতো।
জীবন কাল কাটাতে হবে যেন
মাকড়সার জালে বন্দিদশায়।
মরীচিকার পিছনে ছুটে ছুটে
পৌঁছে যাবে শেষে এক মৃত্যু
উপত্যকায়।