চারিদিকে অবাক করা কাণ্ড কত কী ঘটছে!
দেশে মোড়ল কি কম আছে?
এই তো সেদিন এক গাঁয়ের মোড়ল
অনুচরদের নিয়ে চলতে গিয়ে দেখেছে
পথের পাশে লোকজন ভিড় করে আছে
পাশে কোলাহল মুখর এক অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে
সুস্বাদু খাবারের গন্ধ ভেসে এসেছে তার নাকে
এই অবস্থায় ক’জনের মনময়ুরী আর স্থির থাকে?
ভাবতে ক্ষতি কি পড়লো সে কি বিপাকে?
যখন চারদিকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে
তার মনময়ুরীও সেই গন্ধ পেয়ে নেচেছে
তারপর একটুকু ও না-রয়ে সহে
সে তার অনুচরদের সঙ্গে নিয়ে
অনুষ্ঠান বাড়ি গেল জোগাতে কর্তাকে অনুপ্রেরণা
কার্যসিদ্ধি এখানেই শেষ হলো না।
কর্তার অনুরোধে ভুড়িভোজেও নেই মানা
সে অনুচরদের নিয়ে সারলো খানাপিনা  
শেষ পাতে তার সাধ জেগেছে পান চিবিয়ে খেতে
খাদ্য পরিবেশনের দায়িত্বে যারা
তারা কাজে ছিল না মোটেও দায়সারা
তারা বাবুমশাইয়ের দিকে এগিয়ে আসতেই
তার সাথে চোখাচোখি হলো যেই
তাদের কাছে চেয়ে-চিন্তে এক খিলি পান পেল বটে
চিবতে গিয়ে দেখেছে তাতে এতো বেশি সুপারি ও চুন
একটু ছোয়া লাগতেই যেই জিভ পুড়ছে
বাঘের মতো গর্জে উঠতেও করেনি ইতস্তত  
মেজাজ দেখালো যেন একেবারে তেলে বেগুন।
এখানেই শেষ নয়,
গ্রীষ্মের দাবদাহে যেমন হয়
ফেলতে গিয়েও পানের পিক
চারদিকে খুঁজে না-পেয়ে পিকদানি
তখনি তার মেজাজ বিগড়ে গেল ততোধিক।
বলবো আরও করলো কী সুযোগসন্ধানী?
পিক ফেলার যথোপযুক্ত স্থান না-পেয়ে
পথের পাশে এক বৃক্ষের তলদেশে ঠায় দাঁড়িয়ে
ভেবেছে, বৃক্ষ যখন জুটেছে আর ভাবনা কিসে?
জিভ আরও পোড়াতে যাবে কোন সাহসে?
চলমান পথচারীরা দেখেছে
সে তার গালভরা থকথকে পানের পিকে
গাছের গোড়াটা একেবারে রাঙিয়ে দিয়েছে
তারপরও তার ভাবখানা
এ কথা পাঁচ কান হলেও নেই মানা
দৃশ্য-দূষণ ঘটলেও তার কী যায় আসে?