হয়তো নতুন করে ইতিহাস বই লেখার এসেছে সময়।নয়তো ইতিহাসের ধারা থাকবে না অক্ষয়।


নতুন বইয়ে ইতিহাসবিদদের জন্য রাখতে হবে কিছু পৃষ্ঠা ফাঁকা,জানা কথা।ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদরা সেথায় লিখবেন মহেঞ্জোদারো বা হরপ্পার মতো অন্য কোন সভ্যতার ইতিকথা।


তারা নির্দ্বিধায় তুলে ধরবেন এই যুগের মানুষের অদূরদর্শিতা।লিখবেন মানুষ কিভাবে ভূগর্ভের জলভান্ডার থেকে জল তুলে চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছে সেই কথা।


তারা স্বর্ণাক্ষরে লিখবেন এই যুগে মানুষের অজানা ছিলনা ভূত্বকের শিলামন্ডলের গঠন।সেটাও জানতো বিস্তীর্ণ অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের পাশাপাশি থাকা ফিল্টার কাগজের মতো প্রবেশ্য শিলাস্তর ভেদ করে নদী বাহিত বরফ গলা জল ও বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলাধারে পৌঁছায় শতাধিক বর্ষ পরে।যেথায় ছিল মিষ্টি জলের সুবিশাল আয়োজন।


তারা লিখবেন অদূরদর্শী মানুষেরা আগ্রাসী মনোভাবে ভেঙ্গেছে নিয়মের বেড়াজাল।বীর দর্পে তাদের এই কাজ চলাতে লাগলো অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো।পরিণাম না-ভেবে ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে নির্দ্বিধায় জল তুললো সুদীর্ঘ কাল।

সেই জল উত্তোলন ফলে গর্ভে তৈরি হলো বিশাল শূন্য স্থান।কে বহিবে ভূ-বলয়ের ভূত্বকের শিলা বেষ্ঠনীর বিশাল ভার?তাদের অদূরদর্শিতায় সবই হলো ছারখার।পূর্বে ভূগর্ভস্থ জলের বহির্মুখী ঘাত হারকিউলিসের মতো সামলে রাখতো সেই ভার।পক্ষাঘাতে আক্রান্ত এই পৃথিবী।দুরারোগ্য ব্যাধি সামলানোর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে রইলো না প্রতিবিধান।


রোগটা ধরা পড়েছিল বহু বছর আগে।বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছিলেন ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনে।পাশাপাশি শূন্য স্থান ভরাট করার তাগিদে পাইপ খুঁড়ে বৃষ্টির সঞ্চিত জলকে পাঠাতে বলেছিলেন ভূগর্ভস্থ জলাধারে।সংকীর্ণ স্বার্থসিদ্ধিতে অতিশয় ব্যস্ত মানুষেরা কি সেই কাজে আত্মনিয়োগ করে?তাছাড়া সব জান্তা দের নাকি অন্যের পরামর্শ গ্রহণ করতে অভিমানে লাগে।


শুনেছি আজ রোগী নড়বড়ে।তার দেহ কাঁপছে থরথর করে।কোথাও কোথাও ভূত্বক ধীরে ধীরে চলছে পৃথিবীর কেন্দ্রাভিমুখে।আর একটা মহেঞ্জোদারো বা হরপ্পার দশা শিয়রে।