জানি না,শ্যামলী,স্রষ্টা কেন যে  
শক্তি-সামর্থ্যে বৈষম্য রেখেছে
নারী ও পুরুষে।
বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সৃষ্টি
স্রষ্টার উদ্দেশ্য কিনা জানি না,
দেখো,শ্যামলী,শক্তি-সামর্থ্যে ও
কর্মক্ষমতায় প্রকৃতিগত কারণে
হয়তো নারীরা,পুরুষের চেয়ে
দুর্বল,তথাপি সহিষ্ণুতায় তারা
পুরুষদের টপকাতে অবিচল।
এ যেন জীবন সংগ্রামে বাঁচার
মরিয়া প্রচেষ্টা।ভাবছি,স্রষ্টা কি
অলক্ষ্যে নিয়ত সেসব দেখেন
আড়াল থেকে!
শক্তিতে পুরুষদের সাথে লড়াই
করে জিততে অপারগ নারীরা
সুদীর্ঘ কাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাই
হয়েছে পুরুষদের অত্যাচারের
স্বীকার।তবুও তারা মানলো
সেই হার।
দেখো,পুরুষরা প্রয়োগ করলো
ক্ষমতার অপব্যবহার।শিক্ষাঙ্গনে
কেড়ে নিলো নারীদের অবাধ
প্রবেশের অধিকার।
শ্যামলী,নারীশিক্ষাও অবহেলিত
থাকলো সুদীর্ঘ কাল।সে কারণে
দেখো,সমাজ হয়ে পড়লো এতো
বেসামাল।এখন নারী-পুরুষেরা
এগিয়ে যেতে পারছে না সমান
তালে বিশেষত কিছু অঞ্চলে।
তাই চিন্তা ভাবনায় দেখি নারী
পুরুষে ব্যাপক বৈষম্যের কারণে
চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কতিপয়
রক্ষণশীল পরিবারের পুরুষদের
কপালে।সে সবের প্রভাব পড়ছে
ঘরে ঘরে।করোনার মতো এ যেন
ছড়াচ্ছে গ্রামে ও শহরে।
শ্যামলী,মন দিয়ে শোনো।ইথারে
দূরভাষ ভেসে আসছে সকলের
উদ্দেশ্যে।সব শুনে ভেবে দেখো,
কথাগুলো কি মিছে?
শ্যামলী।বলছি,তুমি কি শুনতে
পাচ্ছো এই কথা গুলো,‘পুরুষ
মন দিয়ে এই দূরভাষ শোনো।
সামনে এগিয়ে যাওয়ার কালে
এবার তোমার স্বপ্নগুলোও হবে
চুরমার।
এখন একটিবার পিছনে ফিরে
দেখো,অতীতে এগিয়ে যাওয়ার
পথে বারবার তুমি যাকে হাত
দিয়ে ঠেলেছ পিছনে,সে এবার
তোমাকে টানছে পিছনে’।
শ্যামলী,এই দূরভাষ শুনে কী
ভাবছো এখনি?
শ্যামলী,পেরিয়েছে অনেক সময়।
আর কালক্ষেপ নয়।এবার বলি,
শোনো।নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের
হয়েছে সময়।