শ্যামলী,তোমাকে বলি,শুনছো কি
পাখিদের কলকাকলি?চেয়ে দেখো
আঁধারের হয়েছে সমাপ্তি।বিরতিও
শেষ হলো।এখন বলতেই পারো,
‘স্রষ্টার অভিপ্রায়’নিয়ে নারীদের
পর্যবেক্ষণ।            
বলছি,সে কথা।মন নামক যন্ত্র
দিয়ে অসংখ্য যুক্তি খণ্ডন করে
তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছে এখন,
‘স্রষ্টা তাঁর নিজ সৃষ্টিকর্ম ধ্বংস
কর্মে উদ্যোগী হলে তাঁর নিক্ষিপ্ত
তীর এসে বিঁধবেই তাঁর নিজের
শরীরে।আত্মহত্যাকে পাপ জ্ঞানে
সেই কাজ থেকে বিরত থাকতে
হবে তাকে।
ভেবেছে নারীরা,সমাজকে অক্ষুণ্ণ
রাখার প্রচেষ্টা ছাড়া স্রষ্টা অন্য
কোনও উদ্দেশ্যে মেতে উঠতেও
পারে না।নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সেই
সিদ্ধান্তের সাথে আমিও সহমত
না-হয়ে পারি না।
শুনেছি,সে এক অদ্ভুত পরিবেশ
হয়েছিল সভার ভিতরে।স্রষ্টাকে
যেন দাঁড় করিয়ে রাখলো এক
বিচার সভার কাঠগড়ায়।
একেবারে গঠনমূলক দৃষ্টিকোণ
থেকে ভেবেও দেখেছে নারীরা,
স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকর্মের সুরক্ষার
তাগিদেই নিজে নর-নারীদের
বিভেদ কামী হতেও পারে না
কোনমতে।
আরশিতে স্রষ্টাকে বারেক দেখে
বিচারকেরা বুঝে নিয়েছে,নিজ
সৃষ্টিকর্মগুলিকে সুরক্ষিত রাখার
তাগিদেও নারী-পুরুষদের মধ্যে
সাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টাটুকু
ছাড়া অন্য কোনও কাজে স্রষ্টা
যুক্ত থাকতে পারে না।
চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখলো
নারীরা সমাজে নারী-পুরুষের
উঁচু-নিচু ভেদাভেদ শারীরিক
সক্ষমতায় বলীয়ান পুরুষদের
যেন অনাসৃষ্টি।
যুক্তি তর্কের শাণিত অস্ত্র দিয়ে
বিশেষজ্ঞদের মতো সমাজের
শরীরটা ময়না তদন্ত করতে
গিয়ে দেখেছে তারা সমাজটার
অর্ধেকটা অংশ জুড়েই নারী,
ছটপট করছে নিয়ত দুর্বিষহ
মানসিক যন্ত্রণায়।
ময়না তদন্তের রিপোর্টে লেখা
রয়েছে নারীদিগকে গুরুত্ব না
দিয়ে এই পুরুষেরা সমাজকে
টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলে
সে প্রচেষ্টা কোনো ভাবে সার্থক
হতে পারে না।তাদের প্রচেষ্টা
মাঝ পথে নাকি ধূলায় পড়ে
খাবে গড়াগড়ি।
নারীরা তুলছে জোরালো দাবী,
তাদের গুরুত্বকে স্বীকার করে  
তাদের উপর এখন পুরুষদের
সর্বপ্রকার অত্যাচার বন্ধ করে
সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
এগিয়ে যেতে হবে।            
শ্যামলী,তোমার এই কথাগুলো
শুনে বলি,জানি না,তবুও মনে
হয় নারীরা যেন প্রান্ত-সীমার
কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও স্রষ্টার
অভীষ্ট শিল্পকর্মটির কল্প-চিত্রকে
দেখেনি এখনও।
সাম্য প্রতিষ্ঠার পরেও হয়তো
নারীদের এগোতে হবে আরও
কিছু দূর।একটু ভেবে দেখো।