সেই কোন আদ্যিকালের এক দিবসে
মানব-মানবীরা সহাস্যে পারস্পরিক
অনন্ত বিশ্বাসে প্রথম প্রেম-ভালবাসায়
কাছে এলো সৃষ্টি-সুখের নব উল্লাসে।


আদিহীন অন্তহীন কাল-নদীর স্রোতে      
ভাসমান নারীরা ধরল পুরুষের হাত
একান্ত বিশ্বাসে।মায়াবী হরিণের মতো    
ভাসলো আবেগে প্রত্যহ দিনে-রাতে।


সবুজের মাঝে সদা সৃষ্টিশীল কাজে
প্রত্যাশা মতো নারীরা ছিল ব্যাকুল,
পুরুষের হিংস্রতার আভাসে আড়ষ্ট
নারীরা ঢাকল তাদের মুখ,-লাজে।


পুরুষরা,সুপ্ত লালসায় করল গ্রাস,    
ঝাঁপিয়ে পড়লো চিতাবাঘের মতো      
হানা দিতে।নারীদেশ অবাধ লুণ্ঠন
শেষে সদম্ভে ছুঁড়ল নারীদের লাশ।


কে,এই ধরণীতে প্রথম শুরু করলো        
নীল-অত্যাচার,নারী সমাজের বুকে?    
পৃথিবীর অর্ধেকটা ঢাকলো আঁধারে,  
প্রেম-স্তম্ভের খিলানগুলো ভাঙ্গলো।


ধরণীর নাড়ি ছিঁড়লো,লক্ষ নারীর
ঠাই হলো সুউচ্চ পিরামিডের গহ্বরে,
পুরুষের প্রতি বিশ্বাস-শূন্যতায়,ভয়ে
কাঁদলো লক্ষ লক্ষ অত্যাচারিত নারী।


সেই নরক-যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আশে    
প্রাণে বাঁচতে নারীরা ঘোমটা পড়লো।    
অবলা তখন অবজ্ঞায়,ঘৃণায় তাকাল    
ঘৃণ্য কীর্তিনাশার দিকে তীব্র আক্রোশে।


যেদিন নারীরা পুরুষের সমক্ষে এসে
দাঁড়াবে সজারুর বেশে এক গাল হেসে,
সেদিন সজনের ডালে পুরুষ ঠাই নেবে
আলেয়ার ভয়ে,তারা সন্ত্রস্ত হবে শেষে।


আকাশে সপ্তর্ষি হাসবে নারীদের প্রয়াসে
মৃতপ্রায় সভ্যতা পুড়বে অশান্ত আগুনে
নব-সভ্যতার প্রত্যক্ষদর্শী স্নিগ্ধ তারারা
দীপ্ত হাসিতে আলোক ছড়াবে উল্লাসে।