বললো কাকাতুয়া হন্তদন্ত হয়ে উড়ে এসে,
কোনও এক দেশে এক মৌচাককে কেন্দ্র করে
ঘটেছে এক নজরকাড়া ঘটনা, যা কোনভাবেই
রোখাও গেল না।
বললো পাখি, রাণী মৌমাছিকে খ্যাপাতে দুষ্টরা
কত কী করতে পারে! মৌচাক কে লক্ষ্য করে
ঢিল ছোঁড়া, সেও।
কেউ এই কর্ম করলে রাণীমা তার ও মৌচাকের
সংকট ঘনিয়ে আসতে পারে ভেবে কি আর চুপ
করে বসে থাকতে পারে?
হলো তাই। এই খবরটা কানে পৌঁছনোর সাথে
সাথে রাণীমা নাকি উঠে পড়েছে সুখশয্যা ছেড়ে।
সে মৌচাকের কর্মী মৌমাছিদের ডেকে বলেছে
‘খবর এসেছে মৌচাকের ধারে কাছে ক’জন
করছে ঘোরাঘুরি,  মৌচাকে ঢিল ছুড়ছে, আমার
পোষা ময়নার প্রতি করছে নজরদারী।
ওরা দুষ্টু ভারী! চেষ্টা করছে পাখির কাছ থেকে
অন্দরমহলের খবর নিতে। ওদের জব্দ করতে
এখনি প্রস্তুতি নাও তড়িঘড়ি।
যে করেই হোক ওদের প্রতিরোধ করতে হবে
এই বেলা। প্রতিপক্ষের সাথে করতে হতেও
পারে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা।
ওরা খুবই কর্তব্যনিষ্ঠ, বহু দেশবিদেশেও বেশ
প্রশংসিত!
রাণীমার এই নির্দেশাবলী পেয়ে কর্মীরা ময়ূরীর
মতো নেচে উঠেছে উল্লাসে। ওরা নাকি ইতস্তত
না-করে তার নির্দেশ পালনে ব্রতী হয়েছে।
এমন কর্তব্যনিষ্ঠ ও অতি-উৎসাহী কর্মী কারো
সাথে থাকলে তার আর ভাবনা কিসে?
কাকাতুয়া দেখে এসেছে রাণীমার নির্দেশে
'প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে কর্মীরা এমন  
ব্যবস্থা গ্রহন করেছে যাতে ওদের কেউ যেন
পা রাখতে না-পারে মৌচাকের প্রবেশদ্বারের
চৌকাঠে।
রাণীমার নির্দেশ, 'তারপরেও এই বহিরাগতরা
যদি সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে ঢুকে পড়ে, বেগতিক
দেখলে তখনি এই ময়নাকে যে কোনও বাহানা
দেখিয়ে ভর্তি করাতে রাণীমার হাসপাতালের
আই সি ইউ তে।
এমন ব্যবস্থাও করতে যাতে মৌচাকের কোনও
গোপন খবর আদৌ বাইরে লোকালয়ে বেরিয়ে
না-আসে।
কর্মীরা রাণীমার নির্দেশ অমান্য করবে কোন
সাহসে? এই নির্দেশ পেয়ে তারা একটুও চুপ
করে রইলো না বসে।
বললো পাখি, মৌচাক প্রহরা দেওয়া ছাড়াও
কর্মী মৌমাছিরা এই সময় বনবন করে উড়ে
চারিদিক নজরে রাখছে।