বললো কাকাতুয়া,
বনবন করে দেশবিদেশ ঘুরতে গিয়ে
দেখেছে কোথাও সে এক বিচিত্র রঙ্গশালা।
যক্ষপুরীর আবহে সেখানে হলো এক যাত্রাপালা।
প্রযোজক রঙ্গমঞ্চে তুলে ধরলো এক রসাল বৃক্ষ।
পাখির মনে চিমটি কাটলো অনর্গল
কী জানি ঘটবে কী?- সেই কৌতূহল।
অগত্যা সে গিয়ে বসলো বৃক্ষের পাতার আবডালে
গালে পুরে দিয়ে দানা শস্য
দেখল, যখন শুরু হলো যাত্রাপালা
কালাকানুন সে দেশে জাঁকিয়ে বসেছে
রাজ দরবারে কত রঙ্গতামাশা ও চললো সরসে।
তারপর হঠাৎ-ই মেঘ ঘনীভূত হলো আকাশে
দেখা দিলো বৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা
পাখি হতচকিত হয়ে দেখলো
অনাহূত যেন আজব কাণ্ডখানা।
দেখলো পাখি, আচমকা বৃক্ষে আবির্ভূত হলো মুকুল
সে যেন ঝুমকালতার মতো কানের দুল।
প্রযোজকের নির্দেশে সেটি অবিরাম দোল খেলো
রসাল বৃক্ষের বিভিন্ন ডালে গিয়েও জড়ালো।
ঝড় উঠলো যখন সে প্রলাপ বকলো
নিখুঁতভাবে পাগলের অভিনয় করেও দেখালো।