শিক্ষকের গালে পড়েছে ওদের চড়, পাঁচ আঙ্গুলের দাগ স্পষ্ট
গালের দাগগুলো ওদের এই কর্ম দেখেই হয়েছে ভয়ানক রুষ্ট।
প্রতিবাদে গর্জে উঠে বললো তারা একযোগে ‘এসব হচ্ছে কী?
আঙুলগুলোকে কি সংযত রাখতে পারোনি ওরা এতোই দুষ্ট?’
বললো কনিষ্ঠার দাগ, ছি ছি ছি, এই দুষ্কর্ম আগে তো দেখিনি
‘শিক্ষকের গালে চড় মারা’ এই কাজ কল্পনা করতেও পারিনি।
মনে প্রশ্ন জেগেছে, আছে কি আঙুলের উপর হাতের নিয়ন্ত্রণ?
সমাজ কোন গাঙে তরী বাইছে সেটিও বুঝতে বাকি থাকেনি।
বললো অনামিকার দাগ, সমাজবন্ধুকে চিনতেই এতো ভুল?
কেউ কি এই কাজ করতে পারে বিদ্যাবুদ্ধি থাকলে একচুল?
ভুলেও চড় মারা যায় কি কখনো কোনও শিক্ষাগুরুর গালে?
ছাত্র-শিক্ষক প্রেমের বন্ধন নষ্ট করলে দিতে হবে তার মাশুল।
বললো মধ্যমা, দুষ্কৃতীরা বলুক ‘কেন শিক্ষকের গালে এই দাগ’
তারা কোথাও কি ঠাই খুঁজে পাবে সমাজ হলে একটু সজাগ?
এই কি ওদের নীতিজ্ঞান ও ধর্মাচরণ? দেখে তো হই হতবাক!
বলতেও ইচ্ছা করে এতোই যখন অজ্ঞান, 'এখান থেকে ভাগ।'
বললো তর্জনী, শুভবুদ্ধি সম্পন্নরা করেছে ওদেরকে তিরস্কার
বোধ হয় অচিরে কেউই এই অন্যায় বরদাস্তও করবে না আর।
ওদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আর মোটেও দেরি নেই
ওদের এই অপকর্ম দেখেই ইচ্ছা হয় ওদেরকে জানাই ধিক্কার।
বললো বৃদ্ধ, শিক্ষকদের নিয়ে যা ঘটেছে নিন্দনীয় বলা ভালো
প্রশ্ন, অন্যায়ের আনুকূল্যে কেন সমস্ত দুয়ারগুলো খোলা ছিল?
দুয়ারে খিল এঁটে দিলেই কেউই কি এই দুষ্কর্ম করতে পারতো?
কেউ কি পর্দার আড়ালে থেকেই সব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছিল?
বললো সমস্ত দাগগুলো একযোগে ‘সব ঘটনা নজরে রেখেছি’
ঘটনাগুলো এতো গর্হিত আকাশের গ্রহতারাকে রেখেছি সাক্ষী
ওদের এই অপকর্ম দেখে কারোর পক্ষেই সহ্য করার মতো নয়
এই অপকর্ম দেখে ধিক্কার জানাতেও ভোলেনি সব কাকপক্ষী।