কাণ্ডারি! করছো কী?
কাল-সমুদ্রে বাইছো যাত্রীবাহী তরণি?
জানি, এ দায় কাঁধে নিলেই তোমাকে
পৌঁছে দিতে হবে যে যেতে চাইছে যে
নগর-বন্দরে।
বলবো কী আর তোমার হয়তো জানা
সমুদ্র উত্তাল হলে ঘটে কত কী। শুনি,
দুঃসময় কেউটের মতো তেড়ে আসে।
তাই নজরে রাখতে হয় বৈকি তেমন
কিছু ঘটছে কি?
দেখছো চারদিক ঢেকে গেছে কুয়াশায়?
যে দিকেই চোখ যায় আবছা অন্ধকার।
দূরে দৃষ্টি নিক্ষেপ?- কষ্টকর ব্যাপার।
তার উপর কাণ্ডারি, বলো তোমার হলো
কী? দু’চোখে পড়লো কি ছানি? নজরে
আসে না আর প্রজ্বলিত বাতিঘর? খুঁজে
পাও-না বন্দর?
দিকভ্রান্ত? বাইছো তরণী এ কোন খাতে?
পড়বে নাকি ঘূর্ণিপাকে? মনে হয় এখন
সে সম্ভাবনা প্রবল।
উত্তরণের পথ? বোধ হয়, সেও তোমার
অজানা। শুনেছি, বিপাকে ডলফিন তীরে
পৌঁছনোর পথ দেখাতে পারে।
কাণ্ডারি! দেখো, ওরা হয়তো বিপদ বুঝে
উত্তরণের পথ দেখাতে যেন ছুটে এসেছে
রুদ্ধশ্বাসে।
দিশেহারা কাণ্ডারি, তবু এখনও তুমি যেন
রয়েছ নির্বিকার। জানি না, করবে যে কী।  
ওদের দেখানো পথে তরণি বাইবে কিনা?