ধৈর্যের শেষ সীমানায় পৌঁছে অপ্রত্যাশিত
ঘটনা ঘটালো বাঁধন ছাড়া।যাদের বিলম্বিত
লয়ে চলার কারণে আকাশে জমলো এতো
কালো মেঘ,সেটা আগে একবার ও বুঝতে
চায়নি তারা।
সপ্তর্ষিমণ্ডল জিজ্ঞেস করলো তাদের,কতদিন
চলবে এই অবহেলা?উত্তর না-দিয়ে অরণ্যে
ফিরে গেল অরণ্যবাসী গণ্ডার রা।অস্তগামী
সূর্যকে ঢেকে দিল বনানী রা।
ঘন অন্ধকারে সেখান থেকে বাতাসে ভেসে
এলো বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার।গণ্ডার রা সেই
কথায় কান না-দিয়ে একাগ্র মনে বারবার
চালালো অত্যাচার।ওদের সেই অত্যাচারের
শিকার হয়ে ধর্ষিতা মরলো এবার।
কাক ও শঙ্খচিল রা নিজেদের আবাস ছেড়ে
বেড়িয়ে এসে জুড়লো আর্তনাদ।তখন ওদের
গগন-ভেদী চিৎকারে কেঁপে উঠলো আকাশ
বাতাস।হৃদয়ের অন্তঃস্থলে যেন মরু সাহারার
অনুভূতি,দাঁড়িয়ে রইলো শোকার্ত রা।
এখন বুক ভরা যন্ত্রণা নিয়ে ওরা বিস্ফারিত
চোখে দেখছে দাউ দাউ করে জ্বলছে রাবণের
চিতা।অপলক দৃষ্টিতে সেই সব দেখছে রাতের
ধ্রুবতারা।শত শত বছর পরেও তাকে জিজ্ঞেস
করলে জানাবে এই ঘটনার সত্যতা।
এই সব ঘটছে যাদের অবহেলায়,নির্বাক তারা।