জানো 'পঞ্চায়েত নির্বাচন!'
এখন গভীর রাত, সামনে খোলা বাতায়ন
নবমীর চাঁদ মেঘের ঘোমটার আড়ালে
লজ্জায় বালিকা বধূর মত মুখ লুকোলো,
আকাশ ঢাকলো ঘন কালো অন্ধকারে।
একটু আগেও শিয়রে জ্বলছিল প্রদীপ
সেই আলোতে পড়ছিলাম তোমার জীবন-পঞ্জিকা,
তার 'কলঙ্কিত অধ্যায়' পড়ে মন বিষন্ন হলো
দু'চোখ দিয়ে জল গড়ালো।
জানো, সে অধ্যায়ে লেখক কী লিখেছেন?
লিখেছেন, সেদিন সকালেও দেখেছেন
ক্ষেত খামারে চাষাবাদের সমস্ত কাজ ফেলে
চাষীরা সদলে যাচ্ছিল নির্বাচন কেন্দ্রের দিকে
প্রয়োগ করতে তাদের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার,
ভেবেছিল গড়বে তাদের পছন্দের স্থানীয় সরকার।
পথে নাকি অরণ্যদেব ও তার অনুচরদের সাথে দেখা
তারা সকলে একরোখা।
বাঁকা চোখে ভোটারদের দিকে চেয়ে
ভোট দানে বাধা দিয়ে তাদের ঘরে ফেরালো
সে সময় সেই নিয়ে উভয়পক্ষে বাদানুবাদও হলো।
ভোটারদের ভোটের ভবিষ্যৎ?
-ভূতের ভবিষ্যতের মতো বহাল রইলো।
অনুচরদের ক্ষোভ সাময়িক স্তিমিত হলেও
তুষের আগুনের মতো নাকি জ্বললো।
রাতে নাকি সেই আগুনে কেউ ঘি ঢাললে
সেটি আবার দপ করে জ্বলে উঠলো,
অন্ধকারের বুক চিরে বেরিয়ে এলো আগুনের শিখা।
অদূরে দাউ দাউ করে জ্বললো গ্রামবাসীদের ঘরদোর
সেই লেলিহান শিখা আকাশ ছুঁতে বাড়ালো হাত
সে নাকি এক অভূতপূর্ব দৃশ্য!
যাদের ঘুম ভাঙলো
তাদের কানে ভেসে এলো ঘরপোড়া গ্রামবাসীদের
আর্তনাদ, সর্বহারাদের হাহাকার।
বলব কী আর ঠিক তখনি
আচমকা একটা উদ্যত ঝড়ে প্রদীপ নিভে গেল।