হুলোবিড়ালকে কাঁদতে দেখে করছো ইতস্তত?
জানো নাকি সেটি চুরি ও পাচারে সিদ্ধহস্ত?
নিঃসন্দেহে বলতে পারি, মাটিতে কান পাতলে
জানবে বৈকি বহু আগে এ কাজে হলো তার
হাতেখড়ি। তবুও অভ্যাস বশতঃ সেই সত্যকে
ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ায় নেই তার কোনও
জুড়ি।
নিঝুম রাতে,জেনে রাখো, যে সময় তোমার
শয়ন কক্ষে ঘড়িতে ঢং-ঢং করে ঘণ্টা বাজে,
সুস্থ মানুষেরা রাতে ঘুমিয়ে পড়ে পাশ ফিরে
সে সময় এই হুলোদের ভিন্ন জগতে রাতের
অন্ধকারে কত কী যে কাণ্ড ঘটে!
সেসব তথ্যাদি সবই হয়তো হারিয়ে যেতো
যদি না রাতের অতন্দ্র প্রহরী,আকাশের সব
তারাগুলো রাত জেগে মিটিমিটি সেসব কাণ্ড
দেখে কালের ডায়েরির পাতায় লিপিবদ্ধ করে
যেতো।
জানলে বিস্মিত হবেই, সেদিন আকাশ পথে
উল্কা গুলো উড়ে যাবার সময় তারাদের বলে
গেল বিড়ালের নির্দেশে এসব চলে একেবারে
ঘড়ি ধরে।তার তত্ত্বাবধানে তার-ই ছানাগুলো
বহুমূল্য সামগ্রী নিঃসাড়ে পাচার করে।আরও
বলে গেল ওরা খুব কর্তব্যনিষ্ঠ!বিড়াল তার
সাহায্যের হাত বাড়ালে এ কাজে ওরা বিলম্ব
করে না মোটে।
বড়ো ঝুঁকি পূর্ণ কাজ!কিভাবে এ কাজ চলে
জানলে কপালে পড়বে ভাঁজ। ধূমকেতু বলে
গেল ওদের এ কর্মকাণ্ড ঢুকবে না সাধারণ
মানুষের মগজে।
জানা গেলো,এ কাজে খাবার দিয়ে ছানাদের
তুষ্ট করলে ওরা দ্রুত ছুটে আসে।সব চুরির
সামগ্রী জেনেও ওরা রাতের অন্ধকারে সেসব
পৌঁছে দেয় বিড়ালের গুপ্ত কুটিরে।
ভাবছো,বিড়াল সে সময় করে কী?শুনবে কি
তার কাণ্ড খানা? শিয়রে বিপদের সম্ভাবনা,
সেটি আয়াসে ঘুমতে পারে নাকি?
মৌচাক থেকে মধু চুরি করে ফেরার সময়
মৌয়ালদের যেমন আতঙ্ক গ্রাস করে,কী জানি
কখন মৌমাছিরা তাদের তাড়া করে ঘাড়ে
কামড়ে ধরে তেমনি তার দশা,ভয়ে জবুথুবু।
রাত জেগে ভোরে একেবারে কাবু!
ঘুমতে গেলেও তার ঘুম আসে না।চামচিকা
ঘুলঘুলিতে বসে ডানা ঝাপটালেও তার মনে
জাগে দুর্ভাবনা। কে,বলতে পারে কাজ শেষে
ছানারা বাবুদের পাতা জালে ইঁদুরের মতো
ধরা পড়লে তার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ্যে
আনবে কিনা!
কানাঘুষো শুনি,তাই তো কাজ শেষে ওরা
বিড়ালের একেবারে অমূলক বোঝা! হুলো
নিরিবিলি বসে ভাবে কী করবে যদি এমন
দুর্দশা ঘনিয়ে আসে।