হয়তো ভুলে গেছো জন্মলগ্নের পর থেকে
কোথায় কিভাবে বেড়ে উঠেছ।
হয়তো মনে নেই খালবিল,পুকুর,জলাশয়
কিবা সাগরে প্ল্যাঙ্কটন খেয়ে বেঁচে থাকার
হলো সূত্রপাত।
ভাবো একবার জীবনের সেই ধারাপাত।
বাঁচতে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে খেয়েছ কত
বিচিত্র খাদ্য-খাবার।
আজ সমুদ্রে তোমার বসতি।মনে পড়ে কি
শৈশবের স্মৃতি? সেসব কি কখনও দেয়
উঁকিঝুঁকি?
হয়তো সে দিনগুলোর কথা ভুলে গেছো।
নয়তো সেসব ভাবতে ইচ্ছা হয় না আর
কিবা সময়ের অভাবে সেসব স্মৃতিসৌধে
একেবারে চাপা পড়ে আছে।
যাক গে, সে নিয়ে এখন না-ই বা ভাবলে।
হাঙরের মতো প্রবল শক্তিধর হয়ে এখন
বেঁচে থাকার সময় অনুভব করো কি বহু
বড় বড় সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে
গা’য়?
বলবে কী, সমুদ্রে বসতি হলে সেসব ঢেউ  
আছড়ে পড়বে, বৈকি। সেকথা করা যায়
কি অস্বীকার?
ক্ষমতার প্রাবল্য বাড়লে এ জগতে অনেক
ক্ষেত্রে ঘটে কত কী! কয়টি আর মানুষের
কল্যাণকামী ডলফিন হয়ে ওঠে?
হায়রে,হাঙরের মতো শক্তিধর হয়ে ভাবোনি
যে সমুদ্র যোগালো এতো শক্তি তার বিশাল
ঢেউগুলো কী বলতে চায়?
বলবে কি কিসের লোভ-লালসায় এতো মজে
আছো? ভ্রান্তিবিলাস না গরিমায়? ভাবি,উদ্ভট
ভাবনা নিশ্চয় জোঁকের মতো তোমাকেও
আঁকড়ে ধরেছে নয়তো যা ঘটছে সেসব কি
ঘটতে পারে?
দুর্ভাগ্য! এ জীবনে বড় বড় ঢেউগুলোকেও
প্রাধান্য দিলে না মোটেই।
ওই দেখো, তেড়ে আসছে যেসব ঢেউগুলো
ওদের আকার। দেখছ কি ওরা একেবারে
দৈত্যের মতো অতিকায়।
ভাবো এখন, সইতে পারবে কি যখন সেসব
আছড়ে পড়বে গায়? নাকি এ সময় অশেষ
যন্ত্রণা সইতে না-পেরে হতে হবে একেবারে
সলিল সমাধি?