বলছি হেঁকে ডেকে,তুষের আগুনকে
কখনো করো না অবহেলা।জীবনের
অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছ কী কখনো
তুষের আগুনের অস্তিত্ব বুঝতে পারা
খুব কষ্টকর?জীবনভর তাকে সংযত
রাখতে পারলে এসব প্রসঙ্গ অবান্তর
কিন্তু একবার যদি বাঁধে গোল কী
করবে তখন?দেখেছ কি,একটু ইন্ধন
পেলে সে জ্বলে উঠে,লঙ্কাকাণ্ড ঘটায়
যখন তখন।
মনে রেখো,জলের সংকটে আগুনকে
বালি চাপা দিয়ে সুকৌশলে নেভাতে
খুবই বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন।বিশ্ব জুড়ে
বিগত দিনে বহু রাজ রাজত্ব তুষের
আগুনের মতো জনরোষে পুড়ে হলো
ছাই,রাজারা হলো তাদের সিংহাসন
ছাড়া।পালিয়ে বাঁচলো সব প্রহরীরা।
এক বার সেসব দেখে নাও ইতিহাস
ঘেঁটে।তুমি কি ভাবছো বসে এখন
আর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় না
মোটে?
একবার মাটির ক্রন্দন কান পেতে
শোন,ধরণীর বুক ফাটছে যন্ত্রণায়।
দেখো,আকাশে নীল গ্রহ কী বলছে
ইশারায়!
দেখি,বুদ্ধিমত্তায় ও উন্নত প্রযুক্তির
প্রয়োগ এবং ব্যাপকতর অনুশীলনের  
দৌলতে অগ্নি নির্বাপণের এই কাজ
এখন পৌঁছেছে শিল্পের পর্যায়ে,তবু
প্রায়শ যেন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে
নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।সে যেন
এখন ভুগছে অকাল বার্ধক্যে।তার
কোমর ও পা এর দুরবস্থা দেখলেই
কষ্ট হয়।ভুগছে বেশ।শেষমেষ হয়তো
শল্যচিকিৎসক দের পরামর্শে করতে
হবে তার অস্ত্রোপচার।
উন্নততর প্রযুক্তির দৌলতে দূরবীন  
এখন সকলের নাগালে।তার আই
পিসে চোখ রাখলেই দেখি তুষের
আগুন জ্বলে উঠে যখন চারদিকে  
ছড়িয়ে পড়তে উদ্যত হয় তখনি
মেঘলোক থেকে ইন্দ্রজিতের মতো
কারোও অঙ্গুলি হেলনে গণতন্ত্রের
চতুর্থ স্তম্ভ যেন তার ঠকঠকে পা
নিয়ে কৌশলে ক্যামেরাকে ঘুরিয়ে
আমজনতা কেই মরীচিকা দেখাতে
ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এসব ঘটনা ঘটছে নিয়ত।হয়তো
বাজিকর দের বাঁশির শব্দে বিষধর
সাপেরা যেভাবে ফণা নামাতে ব্যস্ত
হয়ে পড়ে,এখন কালের গতিপথও
যেন সেভাবে বাঁকে এসে ঠেকেছে।