দেখেছি তার সচ্ছল সুখী সংসার
রোজগার? সেও যথেষ্ট ভালো
জেঁকে বসেছে রোজ ভালোমন্দ খাবারের অভ্যাস।
অর্থ রোজগার করার বিষয়ে
কপালে কখনও পড়ে না চিন্তার ভাঁজ।
এ গৃহস্থদের নাদুস নাদুস চেহারা দেখলেই
সহজে বোঝা যায় বহাল তবিয়তে সুখে আছে।
তারা ভাবেনা লকলকে জিভ বের করে
কুকুর-বিড়াল ঘুরছে ধারে কাছে।
রান্নার সময় রান্নাঘরের কাছে গেলে
রোজ ভালোমন্দ খাবারের গন্ধ
জানালা দিয়ে ফুরফুর করে বেরিয়ে আসে।
সে গন্ধ রুখবে কিসে? আছে কি সে উপায়?
পথ চলতি মানুষের নাকে ও সে গন্ধ ভেসে আসে।
সব হিংসুকেরা দিশেহারা হয় বৈকি!
দেখি ওরা এ গৃহস্থদের কি আর সহ্য করতে পারে?
তাদেরকে সামনে দেখলেই হিংসুকদের ইচ্ছা জাগে
সামনে কালসাপের মতো ফণা তুললেও ঝাঁপিয়ে পড়ে
নেউলের মতো তাদেরকে যেন কামড়ে ছিঁড়ে খায়।
মনে ক্ষত হয়, সে কি বলার অপেক্ষায়?
সেথায় জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে শত্রু জন্মায়
তবে ভয়, আক্রমণ শানাতে গেলে কী জানি কি হয়?
কে জানে, প্রতিপক্ষ কতখানি জোরদার!
ওরা ভাবে, সেসব আগেভাগে যাচাই করা দরকার।
নয়তো বাঘের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লে যে দশা হয়
কে বলতে পারে কতটা হবে রক্তক্ষয়?
জয় নিশ্চিত, সেও বলাও দুষ্কর।
করাত কলের পাটাতনের উপর
শুয়ে পড়ার মতো দশাও হতে পারে,
প্রতিপক্ষ কর কর শব্দ করে শরীরটাকে
চিরে দু’টুকরো ও করে ফেলতে পারে।
ওরা বোঝে শত্রু নিধনের নেশা দেখা দিলে
শরীরকে চাঙ্গা না-করলে কি চলে?
সে কারণে পথ-কুকুরদের মতো মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে গা ঘষে নিতেও হয়।
বলতেই হয়, চোখ কান খোলা রাখলে
এসব দেখাও কারো পক্ষে অসম্ভব নয়।