ভেবে দেখতেও পারো
মনে আছে হয়তো সেদিনের কাণ্ডখানা
বাবুর বাড়ির বাগানের বাইরে একটা ছাগল করলো কী!
দেখেছো হয়তো এদিকে সেদিকে ঘুরঘুর করছিল
আর আড়চোখে দেখছিল বাগানের ভেতরে কী আছে।
দেখলো বাগানে মুলো, পালং সহ বহু শাকসবজি
মালীর সেবাযত্নে বেড়ে বেশ দুলছে হাওয়ায়
এ দৃশ্য দেখলে আর যায় কোথায়?
ছাগলটি আড়চোখে সেসব দেখে কি স্থির থাকতে পারে?
লকলকে জিভ, সেটি থেকে অনবরত লালা ঝরলো
ভাবলো ছাগল সেগুলো খেয়ে মুড়িয়ে না-দিলে কী চলে?
সেসব দেখেই ওর আহ্লাদে ঢলে পড়ার মতো অবস্থা।
কিন্তু সে ইচ্ছায় বাদ সাধলো মালীর নজরদারি
তার তদারকি আছে বলে ভেতরে ঢুকবে কী করে?
ফিরে যাবে? সেসব ছেড়ে কি চলে যেতে পারে?
এমন অবস্থায় তাকে তাকে থাকা ছাড়া গতি কী?
সেই অপেক্ষায় ছিলো, কখন মালী একটু সরে পড়ে।
দুপুরে যা রোদ্দুর, কে কতক্ষণ রোদ্দুরে থাকতে পারে?
যখনি মালী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে বাগানের এক ধারে
একটি গাছের নিচে বসে একটু চোখ বুজলো
সে সময় ছাগলটা আর কি দেরি করে?
সুযোগ পেয়ে বেড়া ভেঙ্গে ঢুকলো ভেতরে।
মনে পড়ে, তারপর সেটি করলো কী?
বাগানের সব শাকসব্জিগুলো খেয়ে মুড়িয়ে দিলো।
দেখেছো হয়তো, চোখ খুলেই
ছাগলের এ কাণ্ড দেখে মালীর কী অবস্থা?
তার মুখটাই শুকিয়ে গেল।
সম্বিত ফিরলে সে সেটিকে ধরতে গেলে
ছাগলটা ছুটে পালাতে চেষ্টায় ছিল।
যদিও বহু কষ্টে মালী সেটিকে ধরলো
মনে আছে পরের ঘটনা?
দেখেছো হয়তো বাবুর বাড়ির চাকরটা করলো কী?
ছাগলের গলায় দড়ি তো বাধা ছিল
খোয়ারে সেটিকে রেখে আসতে গিয়ে
খুঁটির সাথে দড়িটি না বেঁধে ফাঁস না দিয়েই
চলে এলো।
বলা ভালো, সে যা করলো সবই হয়তো অভিনয়।
ভাবছো, তারপর হলো কী?
যা হওয়ার তাই, ছাগলটা ছুটে বেরিয়ে এলো।
পরে যদিও সেটি ছুটে পালাচ্ছে দেখে
চাকরটা ধরতে চেষ্টা করলো
খুব দৌড়ঝাঁপ ও ছোটাছুটি করলো
কিন্তু তার চেষ্টা কোনও কাজেই এলো না।
জানি না, সে যা করলো সবই অভিনয় কিনা!