ছি ছি,
এ কী হলো!
শিক্ষিকারা বিষ ঢাললো নিজেদের গলায়
দিনদুপুরে,লোকালয়ে,পুলিশের সামনে?
এ নিয়ে পাড়ার মোড়ে,চায়ের দোকানে
লোকজন যে যার মতো করছে বলাবলি।
কেউ বলছে,তারা এ-কাজ করলো নাকি
বঞ্চনার প্রতিবাদে আবার অনেকে বলছে
কোনও দলের প্ররোচনায়!
প্ররোচনার তত্ত্বটা সূচের মতো বিঁধলো
কানে কেননা প্ররোচনায় একজন নয়,
দু’জন নয় এক সাথে পাঁচজন শিক্ষিকা
যারা কিনা সমাজের মেরুদণ্ড,সকলেই
এভাবে নিজেদের গলায় কি বিষ ঢেলে
তাদের জীবন মৃত্যু বানে বিদ্ধ করতে
পারে?তবে তারা এখনও মরেনি,লড়ছে
মৃত্যুর সাথে।
তবে,এ কী গণ হিস্টিরিয়া?
এই ভরদুপুরে,ওই দেখো,কী যে হলো,
অন্ধকার ঘনিয়ে এলো।আরও দেখো,
জ্বালানো হলো ‘দিয়া’ তবুও দেখছি
তাকে একেবারে নিষ্প্রভ!
ভাবছি,ঝড়-ঝঞ্ঝা কিংবা অন্য কোনও
বিপদের সম্ভাবনা নয়তো!
বোধগম্য হচ্ছে না,সমাজের দৈন্যদশা
কোন পর্যায়ে পৌঁছলে নিজেদের জীবন
বিসর্জন দিতে শিক্ষিকারা এগিয়ে যেতে
পারে যেমন কানে এলো কোনও দলের
প্ররোচনার তত্ত্ব।
ভাবছি,নাকি বিভ্রান্তি অন্য কোথাও!কত
বিস্ময়কর ঘটনাই তো ঘটছে এ কালে!
শুনতেও ভুল হতে পারে।
সেই সম্ভাবনাও প্রবল,চারদিকে যে ভাবে
বাড়ছে শব্দ-দূষণ,শ্রবণ ইন্দ্রিয় তো প্রায়
অকেজো।    
জানো,আজও প্রাতে একাকী বসে ভেবেছি,
জাতির পথপ্রদর্শকরা এ-কাজ করতে পারে
এমন অজ্ঞ তো তাদের হওয়ার নয়।
বিস্ময় জাগে।তবুও বিতর্ককে দূরে ঠেলে,
একথা মানতে ক্ষতি কী?মানছি,বেশ।
তাহলে বলতেই হয় জাতির মেরুদণ্ডটি
দেশ স্বাধীন হওয়ার সাত দশক পরেও
বেশ ভঙ্গুর।
বলি,এ যাবত শক্ত ও মজবুত হলো না
যখন তবে তাকে শক্ত করতে এরপরও
আর কেন করতে হবে পণ্ডশ্রম?
শোনো,‘শিক্ষক দিবস’ আসন্ন।তাই সবাই
হৈ-হৈ করে নেমে পড়বে এই বিশেষ
দিনকে জাঁকজমক ভাবে উদ্‌যাপন করে
শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে।
এই ঘটনার পরে,বলতে পারো,এ দিনটি
উদযাপনের আর যৌক্তিকতা আছে কী?