গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে পড়ে চিৎকার করে বললে
বটে, 'সাবাস! সাবাস! চার চারজন বিপক্ষের
খেলোয়াড়দের কাটিয়ে সে ফরোয়ার্ডে খেলেছে
ব্যাপক পাস'।
বলটা এখন ফরোয়ার্ডের পায়ে, সামনে একাকী
গোল কিপার দাঁড়িয়ে। বলকে পায়ে একটু ঠুকে
দিলেই অবধারিত বল পৌঁছবে জালে।
হতে পারে গোলকিপারের পা দুটোই কাঁপছে
ঠক ঠক করে। ভাবতেও পারে সে প্রতিপক্ষের
খেলোয়াড় বল পাঠাতে গেলে জালে, কোন দিকে
সে ঝাঁপ দেবে?
তোমার এ কী হলো? পারদ চড়ছে কি এখন
উত্তেজনায়?
'গোলে মারো বল! গোলে.....! 'বলে করছো
চিৎকার। তোমার দলের সমর্থকেরা ও গলা
মিলিয়ে দিচ্ছে সায়?
প্রতিপক্ষের সমর্থকদেরও ভাবখানা, 'বিনা যুদ্ধে
তারাও ছাড়বে না সূচাগ্র মেদিনী'। শুনছো বলছে
লোকে, 'উভয় পক্ষের এই সমর্থকেরা কী ঘটাবে,
কী জানি?
তাদের এখনো বুঝতে বাকি? -এতো লড়াই নয়,
খেলা। তাছাড়া এই বেলা এই খেলা চলছে যেন
গাই বাছুরে।
দর্শকেরা কি ভাবে না কোনো বাছুর বিপদে পড়ে
রুদ্ধশ্বাসে ছুটে এসে দাঁড়ালে তার মায়ের পাশে,
'জননী করবে কী? তার বাছুরের গা  না-চেটে
থাকতে পারবে কি?'
এটুকু ভাববার আগেই ফরওয়ার্ডের খেলোয়াড়
বল পাঠিয়ে দিলো মাঠের বাইরে। এই দৃশ্যটি
দেখে কপাল চাপড়ে যতই বলো, 'হায়রে!'
জানতে না কি খেলা শুরুর আগেই ম্যাচ ফিক্সিং
হয়েছে? আজকাল গট আপ খেলা ওদের পরিণত
হয়েছে অভ্যাসে।