গোপনে সন্ধি করে মাঠে নেমে পড়লে
খেলতে এক সৌহার্দ্য পূর্ণ প্রীতি ম্যাচ,
এ ফুটবল খেলা চলেছে বেশ।
দেখেছে এ খেলা দেশের সব প্রান্তের
জনগণ কেউ গ্যালারিতে বসে, কেউ
বা টি ভিতে।
খেলার শুরু হতেই নজরে এলো দুর্বল
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা বল নাগালে
পেয়েও পারেনি সেটি ধরে রাখতে।
সবল তোমার খেলোয়াড়েরা বাজপাখির
মতো উড়ে এসে ছোবল মেরেই বল
ছিনিয়ে নিলে বারবার।
দেখালে এ যেন তোমাদের ই অধিকার।
সারা মাঠ জুড়ে সারাক্ষণ করলে আধিপত্য
বিস্তার।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা তখন করলো
নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
ভাবছো সে দলের সমর্থকরা করলো কী?
তারা নিজ দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ
জুগিয়েও ব্যর্থ। শত চেষ্টা করেও পারেনি
করতে তাদের উদ্বুদ্ধ।
তারপর? যখন ভাঙলো তাদের ধৈর্যের
বাঁধ, তারা তাদের দলের খেলোয়াড়দের
ধিক্কার জানিয়ে কাটালো তাদের মনের
অবসাদ।
সেসব শুনে সেই দলের খেলোয়াড়রা
হলো বিব্রত বৈকি, আঁতে ও লেগেছে ঘা।
ভেবেছে তবুও তারা করবে কী?
অভিনয়ের ভঙ্গিতে কেউ কেউ মাটিতে
খেলো লুটোপুটি। মূর্ছনার অভিনয়, বাদ
গেল না, সেও।
তাদের ভাবখানা তাদের দায় নেই ছুটে
গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে
নিজেদের দখলে আনার।
বলার অপেক্ষা রাখে না এমন কত কী
ঘটে খেলার মাঠে, প্রীতি ম্যাচে বটেই।
খেলা চললো বেশ।
জনশ্রুতি, ‘তুমি নিজেদের দলপতি, বেশ
বড় খেলোয়াড়। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের
শৃঙ্খল ভেঙে করতে পারো চুরমার’।
একে একে প্রতিপক্ষের সব খেলোয়াড়দের
কাটিয়ে যখনি পৌঁছলে গোলের সীমানায়
এক দু’বার নয়, বহুবার, সেসময় সামনে
অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে একমাত্র প্রতিপক্ষের
গোল রক্ষক।
ভাবলো, সে করবে কী? একাকী গোল
বাঁচাতে পারবে কি?
তোমার দলের সমর্থকদের মনে সেসময়
জ্বলে উঠলো আশার আলো। বলা ভালো
জয়ের আশায় তাদের স্বপ্নগুলো চড়তে
চেয়েছিল সুউচ্চ মিনারে।
হায়রে, সে আর হলো কৈ। কাকাতুয়া
উঁচু গাছের মগডালে বসে দেখেছে সব
ঘটনা। শোনালো পাখি তোমার দলের
সমর্থকদের আশাভঙ্গের কাহিনী।
বিপত্তি ঘটলো নাকি যখন গোলকিপারকে
একাকী পেয়েও খেললে মিস পাস, বল
গেল না জালে।
সমর্থকদের আশা ধপাস করে মাটিতে
লুটিয়ে পড়লো। কারো কারো ভাঙলো
হাড়গোড়, কারো কারো আঘাত লাগলো
মস্তকে।
সেই একই দৃশ্য। এক দু’বার নয়, বহুবার।
নেভালে তোমার সমর্থক দর্শকদের আশার
বাতি।
রেফারি বাজালো যখন খেলা শেষের বাঁশি
তখন খেলার ফল গোলশূন্য।
এ খেলা দেখে সকলেই আশাহত। কারো
কারো ভাঙলো ধৈর্যের বাঁধ। ভাবলো তারা
পেরোতে পারেনি তাদের সাধের বৈতরণী।
খেলা শেষে শুরু হলো ইট-বৃষ্টি। সে যেন
অনাসৃষ্টি।
বললো কাকাতুয়া, ‘গোপনে সন্ধি করে প্রীতি
ম্যাচ খেলার এই পরিণতি!’