দেখেছি উদ্বাস্তু নারীপুরুষদের মিছিল।
শঙ্খচিলের মতো কতগুলো আগ্রাসীর
অত্যাচারে তারা ঘর ছেড়ে বেরিয়েছে
পথে।
কোলেপিঠে শিশুসন্তান, রানারের মতো
চলছে। সাথে যষ্ঠিনির্ভর তাদের বৃদ্ধ
পিতামাতা।
বিধাতা এই বাস্তুচ্যুতদের কোথায় নিয়ে
যাচ্ছে, কে জানে?
কাঁটা বিছানো সুদীর্ঘ পথ। কড়কড় শব্দ
হচ্ছে জীবনরথের চাকায়। সেটি টানতে
কষ্ট হচ্ছে। তবু না-টেনে উপায় কী?
ধ্বংসযজ্ঞে মত্ত আগ্রাসীরা আগ্রাসন বন্ধ
করবে কি?
পথ পেরোতে বিছাদের ভয়, কে জানে,
কখন শানাবে আক্রমণ আর কেড়ে নেবে
জীবন ধন!
হায়রে, বিনা দোষে বাস্তুচ্যুতদের উপর
নেমে এলো এই আক্রমণ।
দেখেছি তাদের দু’চোখে জল বইছে
অনর্গল। বিহ্বল দৃষ্টিতে দেখেছি আজব
কতগুলো দু’পা ওয়ালা জন্তু অহরহ
ঘুরছে চারদিকে।
আত্ম সুখে মগ্ন। নিরীহ মানুষের মুখের
গ্রাস কেড়ে নিতে মনুষ্যত্ব হারিয়ে বেশ
আছে উল্লাসে।
ওদের কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার ভাবনা
মিছে।
ওরা বিশ্বের সমস্ত সম্পদ গ্রাস করতে
অস্ত্র হাতে হায়েনাদের মতো সাধারণ
জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে উদ্বাস্তু করে
ছেড়েছে।
দেখছি, দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
ইন্ধনও যোগাচ্ছে বেশ।
এ আগুন থামার কোনও লক্ষণ দেখি না,
এ যেন জ্বলছে রাবণের চিতা।