ও মেয়ে,দুষ্টু ভারী! বারো বছর বন্ধুদের সাথে
মিলেমিশে লোকালয়ে ও বনে বাদারে তুই কম
খেলেছিস? এমন লুকোচুরি খেলেছিস প্রতিপক্ষ
তন্নতন্ন করে খুঁজেও পায়নি তোর হদিস।
সন্ধ্যা গড়ালেও বন্ধ হয়নি খেলা। গলা জড়িয়ে
ধরে বন্ধুদের সাথে ঝোপঝাড়েও লুকিয়েছিলি।
শরীরে লেগেছে কি কম কালিঝুলি?
খেলতে গিয়ে পেয়ে হীরের খনির হদিশ, লোভে
মত্ত হয়ে চুরিতে মেতে উঠে রাতের অন্ধকারেও
সারা রাত সেই কাজে কাটিয়েছিস।
ভাবিসনি তখন ঘনিয়ে আসতে পারে ভয়ানক
দুর্গতি। বনের ভেতর নেকড়েও লুকিয়ে ডাগর
ডাগর চোখে তোর দিকে তাকিয়ে থেকে সুযোগ
বুঝে বন থেকে বেরিয়ে এসে তোকে জাপটে
ধরতে পারে।
হায়রে, মতিভ্রম হলে কত কী ঘটতে পারে!
এখন হঠাৎ হলো কি বাঘের আগমন? তোর
পায়ের তলার মাটির শুরু হলো স্পন্দন?
বাঘ আসছে, ভয়ে কেঁপে উঠলো যখন তোর
শরীর, মুখ বন্ধ যেন একেবারে বধির, তখন
ঝনঝনিয়ে উঠলো হাতের কাঁচের চুরি।
বললো কাকাতুয়া, দেখেছে পাখি তুই প্রাণের
ভয়ে মাটির ধুলায় শুয়ে পড়ে খেয়েছিস খুবই
গড়াগড়ি।
চুড়ির সেই শব্দ শুনে ভেবেছি নেকড়ে তোকে
কি ধরে ফেলেছে? আঁস্তাকুড়ে বসে সেটি কি
এখন বিধির বিধান মেনে তোকে ছিঁড়ে করছে
খানখান?