সেই আদিম কাল থেকে ওরা সবার অলক্ষ্যে
মনের অজ্ঞাত গুপ্ত কুটিরে কালাপানি তে বেঁধেছে বাসা।
স্বভাবে বিষধর সাপ কিংবা হিংস্র জন্তু।
শীত ঘুমে থাকা সাপের বিষগ্রন্থির বিষ যেন,
অকাতরে ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণ।
ওদের ‘রিপু’ বলেই জেনেছি সেই শৈশব থেকে,
একটু আতরের গন্ধে জেগে উঠে পেশী সঞ্চালন করে মজলিশে।
বেড়ে ওঠে,পঙ্কিল জলাশয়ের নীচ থেকে
নিয়ত উঠে আসা বুদবুদের মতো।
নতুন পোশাকে ওরা যেন বিষধর সাপ
বিষ ঢালে সমাজের বুকে,
কিংবা,ক্ষুধার্ত হিংস্র পশু আঁচড় কাটে ধারালো নখে।
রক্ত ঝরে ওদের তাণ্ডবে,
চরম তৃপ্তির জন্য ছোটে উন্মাদনায়
ঢাল বেয়ে পৌঁছে যায় যেন লালসার পর্বত শিখরে,
অপেক্ষারত আগ্নেয় গিরি র জ্বালা মুখে।
হাঙরের মুখের মতো হা-করা মরণ কূপ
ওদের দেখে উল্লাসে আটখানা।
চিতা জ্বলে দাউ দাউ করে,
বেড়িয়ে আসে কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া।
অভিকর্ষজ টানের চেয়েও প্রতাপশালী কোন শক্তি
ওদের টেনে নিয়ে ফেলে মরণ কূপে,
এটাই ওদের শেষ ঠিকানা।