যদিও রাত গভীর নয়, জেগে থাকারই সময়
তবু ঘুমিয়ে পড়েছিল মহানগরী
ঘুমকাতুরে তখন কি জেগে থাকতে পারি?
আমিও শিয়রের কাছে রাখা নাইট ল্যাম্প নিভিয়ে
ঘুমিয়েছি দুয়ারে খিল এঁটে।
গেটে জেগেছিল গুটি কয় নৈশপ্রহরী লাঠি হাতে।
চোরদের এই তো সুবর্ণ সময়,
তাদের আবির্ভাব হতে দেখে
প্রহরীরা, চোর চোর বলে করেছিল চিৎকার
কাল প্যাঁচাও আকাশ বাতাস করেছিল তোলপাড়,
তবু কারো সাড়া পায়নি দেখে প্রহরীরা
দৌড়ে এসে ঠক ঠক করে দুয়ারে নেড়েছিল কড়া।
তখন আমার তো ভীমের দশা
কানের কাছে খোল করতাল তাসা
বাজালেও ঘুম ভাঙ্গার নয়।
হলোও তাই, সেই শব্দ কর্ণকুহরে পৌঁছায়নি
প্রহরীদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারিনি।
শুধু লাঠি হাতে তারা আর করবে কি?
তাদের হতে হলো যাদের মুখোমুখি
তারা কেউ ছিঁচকে চোর নাকি?
ডাকাত বললেও কম বলা হবে, বৈকি।
কয়লা, বালি, পাথর ও চাকরি সহ
বহু রকম চুরি ডাকাতিতে সিদ্ধহস্ত তারা।
দলবদ্ধ এই চোর ডাকাতদের প্রহরীরা করবে তাড়া?
তাদের সেই সামর্থ্য আছে নাকি?
বরং ভয়ে সিঁটিয়ে পড়তে রইলো বাকি।
পরবর্তী ঘটনা?
কে জানে, কারো কোনও প্ররোচনা ছিল কিনা
আকাশ ঢাকলো মেঘে, শুরু হলো ওদের গর্জন
চোরেরা করলো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের আয়োজন
জানি না, তারা এরপর করলো কী?
ঘুম ভাঙলে উঠে দেখি
গেছে আমার সব স্বপ্ন চুরি।
ভাবি, এতো ঘুমকাতুরে হলে
এখন কপাল চাপড়ে হবে কী?