পানা পুকুরে বাস
সেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে
পাঁকে ডুবে থাকাই অভ্যাস।
বাতাসে শ্বাস না-নিলেও নয়
সে কারণে জলের উপরে ভেসে উঠতেই হয়।
সে কাজ করতে গিয়ে পড়লে জেলেদের নজরে
বুঝলে, শিয়রে সংকট!
অকপটে বলতে হয়
জেলেরা তোমাকে না-ধরে চলে যাবে কি?
বাঁচার লাকি কুপন কেড়ে নেবে নাকি?
খুঁজতে বাঁচার উপায়
তড়িঘড়ি বিশ বাও জলের গভীরে পাঁকে ডুব দিলে
হালে সেখানেও স্বস্তিতে আছো কি?
দেখছি জেলেরা পুকুরের জল ছেঁচে ফেলেছে
অল্পবিস্তর পাঁকটুকুই রইলো অবশেষে
কোমর কষে বেঁধে তারা নেমেছে পাঁকে
তন্নতন্ন করে খুঁজতে তোমাকে।
ভাবছো, বরাতে আছে কী?
বাঁচার শেষ রক্ষা হবে কি?
দেখছি ভয়ে কাবু হয়ে করছো কত কী!
লুকোচুরি। জল ঘোলা করা, সেও। ধ্রুবতারা সাক্ষী।
সন্ত্রাসী, ভাবছো জেলেরা খেপলে করবে কী?
বলি, যেসব অপকর্ম এযাবৎ করেছো
ধরে তোমার ঘাড় মটকাবে নাকি?
এখন এভাবে জীবন বলি দেওয়ার চেয়ে
ওদের কাছে ধরা দেওয়াই শ্রেয় মনে হয়।