দেখেছি স্বপনে
যখন ঝড়ের দাপট শুরু হলো সেই ক্ষনে
তাদের মনে জেগেছিল ঘোর পিপাসা
মরুতীর্থ হিংলাজে যাওয়ার তীব্র আশা।
ভাবেনি পথে অঘটন ঘটতে পারে
বিপদ ঠক ঠক করে কড়া নাড়তেও পারে শিয়রে।
বুক ভরা অদম্য আশা নিয়ে
চাটি ফাটা রোদে ধু-ধু বালিতে চলতে গিয়ে
হয়েছে যখন তৃষ্ণায় কাতর, চাতক পাখির দশা
বুক ফাটলেও খুঁজে পেয়েছে নাকি মরূদ্যানের দিশা?
‘জল চাই, জল’ বলে করেছে যখন আর্ত চিৎকার
মরুর তপ্ত বালি ব্যঙ্গ হেসে জানালো ধিক্কার।
খিলখিল করে হেসে মরু সাহারা
দেখেছে বিস্ময়ে তার বুকে ছুটেছে কারা?
ভেবেছে, তারা কি ভুলে গেছে
পথে বহু কষ্ট সহ্য করতে হয়?
মরুভূমিতে শুধু তপ্ত বালি নয়,
পথে কাঁটাবন ও রক্ত ঝরাতে হা-করে চেয়ে আছে?
বলেছে মরু, ‘পেতে চাও মরূদ্যানের জলের হদিস?
তবে করছো কেন এত হাপিত্যেশ?
সবেমাত্র একটুখানি কাঁটাবন পেরিয়ে এসেছ
এই বন কত বিস্তৃত, ভেবেছ?
শোনো, আগে সমস্ত কাঁটাবন পেরতে হবে
তবেই জলের হদিস পাবে’।