গণদেবতার মন্দিরের সেবাদাসী
কপালে চন্দনের টিপ, গলায় তুলসীর মালা
শুভ্রবসনা নারী, বলবে কী হিসাব কষি’
ঘনিয়ে এসেছে যখন গোধূলি
চালে মেশালে কাঁকর? দু’হাতে মাখলে ধুলোবালি?
বলেছিলে বটে, ‘মন মজেছে নরনারায়ণ সেবায়
নিষ্কাম কর্ম করতে এসেছ ত্যাগের বাসনায়’।
তবে, যা বলেছিলে সবই মিথ্যে?
বাসনা মোটেও ছিল না জনহিতে?
যা বলেছিলে, সবই জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতে?
সবই কি অছিলা? হায়রে, এমন ও ঘটনা ঘটে!
মনে এমন কী দুরভিসন্ধি ছিল যে যায় না বলা?
হায়রে, মন্দিরের দেবতাকে করে ঢাল
গণদেবতাকে দিতে গেলে এ কী নৈবেদ্য?
অখাদ্য কাঁকর মেশানো চাল?
ভাবলে না, এর পরিণতি কী হতে পারে?
দুয়ারে বিপদ ঠক ঠক করেও কড়া নাড়তে পারে।