সোজাসাপটা কথা, পাগলা হাতির মতো
খেপেছে প্রকৃতি।
চারদিকে ক্রমাগত চলছে তীব্র দাবদাহ,
নদী ও জলাশয়ে জলের অভাব, অজস্র
মাঠঘাট ফেটে কাঠ।
রৌদ্রতাপে খরার কবলে পড়ে রাজ্যজুড়ে
জলাভাব, মাঠের শস্য পুড়ে ছাই, মানুষ
ও পশুপাখির বেঁচে থাকাই দায়।
ফল্গু নদীর তীরে বসে বলছে থুড়থুড়ে
এক বুড়ো, 'রাজা কোথায়? এই অবস্থায়
এড়াতে পারবে দায়?
কোথায় ছিল তার নজরদারি? এ রাজ্যে  
নিমেষে এত যে বৃক্ষ নিধন হলো, তার
তদারকিতে তেমন বন সৃজন করলো
কৈ?
বয়সের ভারে হয়নি প্রতিবাদে ঝলসে
ওঠা, মুখ বুজে চুপ করে থাকলেও কী,
দেখেছি দূর থেকে নেপোয় খেয়ে গেছে
দই।'
রাজার দোষে সকলের কপালে জুটছে
দুর্গতি। কাঁধে বাড়তি বোঝাও চেপেছে
রাজ্যবাসীর।
বলেছে বৃদ্ধ, 'রাজা, শূন্যে তীর ছুড়লে
হবে কী? সেটি যাবে কোথায়'?
আরও বলেছে বৃদ্ধ একথা নাকি শুনেছে
'কানাঘুষো করছে লোকে, এ দুঃসময়ে  
রাজা, ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের
মাশুল। ভীমরুলের হুলে বিদ্ধ হওয়ার
মতোই জনগণের বেড়েছে দুর্দশা।'
এই বাড়তি বোঝা বইবার সামর্থ্যটুকু
আছে ক’জনের? যাদের সামর্থ্য নেই,
তারা করবে কী?
অগতির গতি, তারা হাতে শক্ত করে
ধরছে হাতপাখা আর মোমবাতি।