ভুলি কী করে
বিগত বছরগুলোতে কত মানুষের জীবন
হলো ওষ্ঠাগত? লোপাট হলো অগণিত
দরিদ্র মানুষের সৎ ভাবে উপার্জিত কত
অর্থ?
দেখেছি সমাজ আচ্ছন্ন হলো কালো মেঘে
ঢাকা অন্ধকারের ত্রিপলে। সে মেঘ সরে
যায়নি আজও। কেউ সান্ধ্য-প্রদীপের মতো
আলোও জ্বাললো না।
হায়রে, এ সময় সমাজের সুযোগসন্ধানী
মানুষেরা যেন ইঁদুরের মতো গর্ত থেকে
বেরিয়ে দরিদ্র ও সাধারণ জনগণের বহু
কষ্টে উপার্জিত অর্থ লোপাট করে সেই
গর্তের ছিদ্রপথে সমস্ত অর্থ রেখে এলো
কোনও রহস্যাবৃত গুপ্ত কক্ষে।
বলবো কী আর, জনগণের দুর্ভাগ্য বটে।
জেনেছি এ বিশ্বের সব দেশে চিরকাল
সাধারণ মানুষের বরাতে এমনি দুর্দশা
জোটে।
হতভাগা জনগণ মাটিতে মাথা ঠুকলো
বটে, আলোর অভাবে কেউ খুঁজে পেল
না সেই গর্তের ছিদ্রপথ।সে গুপ্তকক্ষের
ঠিকানা আজও জানা গেলো না।
দেখলো এ সমাজ প্রতারিতদের জীবনে  
ঘটলো কত কি! শূলবিদ্ধ বলাকার মতো
অজস্র মানুষের অন্তঃস্থলে হলো ক্ষত।
ফুলকি দিয়ে অজস্র রক্তও যেন বেরিয়ে
এলো।
দেখেছি এ যেন সেই রক্তক্ষরণের কারণে
আর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার অভাবে আদি-গঙ্গা
দিয়ে বইলো ব্যাপক রক্তস্রোত।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সচেতন জনগণের
বক্ষ বিদীর্ণ হওয়া যথেষ্ট সংগত নয় কি?
বলো, তারা বিচলিত হতে পারে না কি
এই ভেবে কোথায় গেল সেই অর্থ? দুষ্টু
ইঁদুরগুলো বিপুল পরিমাণ জনগণের অর্থ
কোথায় রেখে এলো?
বলার অপেক্ষা রাখে কি ইঁদুরদের গর্তের
সন্ধান পেলে আর ওদের পথ পরিক্রমাকে
নিশানা করে এগোলে হয়তো জানা যেতো
কোথায় সেই রহস্যাবৃত গুপ্তকক্ষ? কোথায়
সেই বিপুল অর্থে গড়ে উঠলো সুবিশাল
অর্থ ভাণ্ডার?
ভাবি, আছে কি সেই সম্ভাবনা? সেই মেঘ
সরবে কি আর?