কী জানি, হয়তো তার দু’চোখে পড়লো ছানি।
শরীরের রক্তে পটাসিয়ামের অভাবও হতে পারে।
মস্তিষ্কের ব্যাধি? সেও হতে পারে বৈকি!
দেখেছি একদিন আকাশ ঢাকলো মেঘে। চারদিক
অন্ধকার। আকাশ থেকে ধেয়ে এলো বজ্রনাদ।
সে সময় সঠিক পথের দিশা খুঁজে পাওয়াও
ছিল দুষ্কর।
সেসময় দেখেছি তাকে,সে যেন পথভ্রান্ত।অন্ধের
মতো যষ্টি-নির্ভর। ঠুকে ঠুকে পথ চলতে গিয়ে
সঠিক পথে না-গিয়ে চললো একেবারে বিপথে।
অনেকে সঠিক পথের দিশা দেখালো।সে কারো
কোনও কথা শুনলো না। পরিণতি? পৌঁছলো
সঠিক ঠিকানা থেকে বহুদূরে।
ধপাস করে পড়ে পাথরে মাথা ঠুকে হয়তো
এখন হলো তার শরীরের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি।
এখন সে রোগ শয্যায়, হাই তোলে।কর্তব্যরত
চিকিৎসক বসে আছেন শিয়রে। চেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছেন রোগীকে বাঁচানো যায় কিনা। দেখা
যাক, সে প্রচেষ্টা কতদূর গড়াতে পারে।ওই
শোনো,এখন দূর থেকে ভেসে আসছে মেঘের
গর্জন।
বলবো কী, শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসশ্রী প্রকল্পের খুব
প্রয়োজন ছিল ঠিকই। কিন্তু ভেবেচিন্তে করা
হলো কি সঠিক পরিকল্পনা?
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না তার অভাব
হলে ঘটতে পারে কত কী। অকালে হতেও
পারে শিক্ষা ব্যবস্থার গঙ্গাপ্রাপ্তি।
দেখেছি বাবুরা শহর ও শহরতলীর বহু স্কুলকে
খুশি করতে গিয়ে ঘটালো অদ্ভুত কাণ্ড। সে যেন
স্কুলগুলোকে শিশুদের মুখে চুষিকাটি ধরানোর
মতোই ব্যাপার।কী জানি,এ সবের কতটা ছিল
দরকার।
মফস্বলের স্কুলগুলো থেকে ব্যাপক হারে শিক্ষক
তুলে এনে সেসব স্কুলগুলো ভরিয়ে দিলো।হায়রে,
এ কাজ করতে গিয়ে একবারও ভাবলো না
মফস্বলের স্কুলগুলোর হতে পারে কী পরিণতি।
এখন দেখি,শহর ও শহরতলীতে যেখানে বাংলা
মাধ্যম স্কুলে শিক্ষার্থী অপ্রতুল সেখানে নামলো
শিক্ষকদের ঢল। এতো শিক্ষক নিয়ে সেসব স্কুল
করবে কী?
আর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র গ্রামে-গঞ্জে মফস্বলের
স্কুলগুলোতে।এখন এ কথা বলা দুষ্কর, সেসব
স্কুলগুলো বাঁচবে কি?
ভাবি, সেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঠিক
আনুপাতিক হার এখন বজায় থাকলো কি?
এ সময় বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই আর।
গুনতে হবে না আর অপেক্ষার প্রহর।
শিক্ষাঙ্গনগুলোর খুলেছে তালা। এবার দিনের
আলোর মতো পরিষ্কার হবে সে চিত্রটা।তবে
তেমন দশা হলে হয়তো বোবা কান্না কেঁদেও
সমাজ সঠিক পথও খুঁজে পাবে না।