সে তো মোটেই মানুষ নয়
মানবতার ক্ষয় রোগাক্রান্ত দু’পা ওয়ালা এক জন্তু।
কিন্তু কিন্তু না-করেই অকপটে বলছে লোকে
সে পেটুক খুব, লোভ লালসায়ও খুবই মত্ত
তার পেটে যেন এক সুবিশাল গর্ত
আস্ত একটা হাতি খেলে ও পেট হয় না ভরাট।
তার দাঁত গুলো করাতের মতো ধারালো
সেই সাথে শক্ত ও বটে।
রাতবিরতে কত লোকের হাড়গোড় চিবিয়ে খেলো
বিষয়াদি? সেও।
তবু খিদে মিটলো কই?
বলছে লোকে সে জমি-হাঙর ও বটে
খিদে মেটাতে চাকরী চুরি, লটারি চুরি করে
কম খেলো নাকি?
তবুও তার পেট ভরতে বাকি।
হায়েনার মতো নখর
নর মাংস ও হাড় চিবনো এ জন্তু
রোজ সকালে নির্দয়তার মন্ত্র জপে
এদিক সেদিক দৌড়ে বেড়ায় খাবার খোঁজে
এ কাজে সারাদিন ঘাম ঝরায়,
তার দু’দণ্ড নেই বিশ্রাম।
কোথাও খাবারের গন্ধ পেলে ভাবে
কবে কখন সে ঘরে পা-বাড়াবে
আর অপরের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে।
সেই খাবার কেড়ে নিয়ে খাওয়া ঠিক হবে কিনা
সে চিন্তা তার কখনো মনে জাগে না।
কে জানে না?-বাতাসে কান পাতলে শোনা যায়
তাকে নিয়ে লোক সমাজে চলছে নানান জল্পনা।
বিজ্ঞরা বলছে, মজেছে সে ভুল-বাহারে।
আহারে নেই অরুচি
খাবার পেলে তাই সেসব গোগ্রাসে গিলে খেতে
হন্তদন্ত হয়ে পুরে দেয় নাকে মুখে
সে ভাবনাও নেই সেসব ঠেকতে পারে বুকে।
সে নাকি কচমচয়ে হাড় চিবিয়ে খায়
মায়ামৃগ মরলে ও তার কি আসে যায়?
তবে মানবতা শূন্য এ দু’পা ওয়ালার
আজকাল এমনি দশা,
বাঘ-ভল্লুকের দেখা পেলে
শৃগালের মতো লেজ গুটিয়ে দৌড়ে পালায়।
যাই বলো, এখন তার এসব কর্মকাণ্ড দেখে
সমাজ দাবদাহের মতো দাউ-দাউ করে জ্বলছে।
তার এখন এমনি অবস্থা
কোথাও ঠাঁই মেলাও দুষ্কর।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেল
এই তো সেদিন
জঙ্গল-মহলও বরাভয় থাকলো কই?
সেখানেও নাকি তার ঠাঁই জুটলো না।