পাহাড়ে গড়িয়ে পাথর দু’টি হয়েছে মুখোমুখি
ভিন্ন পথ একত্রে মেশায় লেগেছে ঠোকাঠুকি।
উভয়ের গায়ে লেগেছে একটু ব্যথা
ওরা মুখ ফুটে বলেছেও সেই কথা
এই ব্যথা মুখ বুজে কেউই সহ্য করেছে কি?


বড়ো দুঃসময়, সহনশীলতার হয়েছে ভরাডুবি
বেড়েছে সবার গড়িয়ে চলার ক্ষমতাও, খুবই!
কেউ খোঁজে না মানিয়ে চলার যুক্তি
উল্কার মতো ছুটতে চায় পেয়ে মুক্তি
মহাকর্ষও কি তবে অর্থহীন, সেকথাই ভাবি!


ওরা ভেবেছে দূরে সরে যাওয়া যায় স্বেচ্ছায়।
গড়িয়ে দূরে সরে গেলে কার কী আসে যায়?
গড়ানোর ক্ষমতা কারো কম কি?
সরে গেলে লাগবে না ঠোকাঠুকি
সুখ তো জুটবে, উভয়ের মনে সেই অভিপ্রায়।


বলছে কাকাতুয়া, ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছ কি?
আবারো অনুরূপ ঘটনা ঘটে যেতে পারে না কি?
ভাবছো বাঁকা-চাঁদের সাথে হবে না দেখা
অন্য পাথরেও কি আর খাবে না ঠোকা?
সে হলে ভালো, সেকথা নিশ্চিত বলা যায় কি?  


গড়ালে অন্য পাথরেও ধাক্কা লাগতেই পারে
তেমন হলে মন পাখি উঠবে নাকি শিয়রে?
আঘাত না-লাগলে উল্কাবেগে যাবে
শৈলের পাদদেশে গিয়ে থামতে হবে
তখন সুখপাখিও থাকবে নাকি দূরে সরে?