তুমি না-হয় মন্দ হলে
পেট-পুরে খেতে দিলেও মন ভরে-না সাদা অন্ন দিলে।
ভাবলে পায়সান্ন খাওয়ার লোভ লালসায়
নিজের বিবেককেও বেঁচে দিলে কী আসে যায়?


সে পথে পা বাড়ালে কেউ কি ধরে রাখতে পারে?
গা-ঝাড়া দিয়ে লোক ঠকানোর ঠিকাও নিতেই পারো।
ক্ষুধার্ত শিশুর হাত থেকে একখণ্ড রুটিও
কাকের মতো ছোবল মেরে ছিনিয়েও নিতে পারো।


লোকের চোখে ঠুলি পরানোর মতো
রঙ-বেরঙের চশমা পরিয়েও দিতে পারো,
যাতে সেসব পরছে যারা নিজেদের ভাবনা ভুলে
কালো ইঁদুরকেও যথাযথ চিনতে না-পারে।


বন্য ইঁদুরেরা ধানের গোলায় ঢুকে
কুটিকুটি করে ধান কাটলে দাঁতে
কিংবা দিনদুপুরেও গোলা করলে ফাঁকা
ওরা করছে কী?- সেও যায়-না দেখা।


চারদিকে চললেও খেলা কানামাছি
সেই চশমা পরে তারা থাকবে সদা হাসিখুশি।
হয়তো জেনে-বুঝে করিৎকর্মা এমনি হলে
কাককেও ছলেবলে ময়ূর বলে চালিয়ে দিলে।


চালিয়ে যেতে পারো সদা লোক ঠকানো
কাজেকর্মে একেবারে বন্য শৃগাল যেন।
সদ ভাবনা মন থেকে চলে গেলে
জীবনে এমন কিছু করাই চলে।


তাই বলে কি আজও নিজের দায় এড়াবো?
বিবেক বুদ্ধি লাগবে না কোনও কাজে?
সেসব বেঁচে থাকবো নাকি কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে
গান্ধারীর মতোই অন্ধ সেজে?