দেখেছি সেই দেশটার তর সয়নি মোটে।
দৌড় প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ছুটেছে
রকেট গতিতে।
উন্নয়নের নিরিখে সারাবিশ্বে রাষ্ট্রগুলোর
দৌড় প্রতিযোগিতায় জয়মাল্যটি ছিনিয়ে
শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা যদি জোটে।
বটেই তো, সেই প্রচেষ্টায় আর দোষ কি?
তবে দেশের জনগণদের সুরক্ষা বলয়ের
ভেতর রাখতে হবে নাকি?
খেলা শুরুর থেকে সেটি সেই দিকে নজর
দেয়নি। থেকেছি ব্যাপক খামতি।
এই ভাবে দৌড়তে গিয়ে বুক ধড়পড় করে
উঠেছে যখন তখনও কমায়-নি গতি।
হায়রে, বিশ্বজয়ের নেশায় ঘটে কত কী!
রাষ্ট্রের সম্পদ উৎপাদনের কাজে ব্যস্ত সব
নারীপুরুষেরা কলের সাথে তাল মিলিয়ে
দৌড়তে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলেও কারো স্বস্তি
মোটেই জোটেনি।
রোজ দিনের কাজের শেষে ঘরে ফিরেছে
যখন দু’টো খাবার মুখে পুড়েই ঘুমিয়েছে  
মরার মতন।
জীবনের সাধ আহ্লাদ? সেসব মনে ছিলো
যত, সে সবই ফুস করে উবে গেছে গ্যাস
বেলুনের মতো।
ঠিক তখনি মেঘ ডেকেছে গুরু গুরু। সেই
সমাজের বুকে ক্ষত-সৃষ্টির শুরু।
মেঘের সেই ডাক সমাজের দায়িত্বশীলেরা
শুনেছে কে?
উন্নয়নের নিরিখে সেই দেশের ঘটেছে বটে
শ্রীবৃদ্ধি, সেই সাথে দেখা দিয়েছে তার বুকে
ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি।  
হয়েছে কি কম ক্ষয়ক্ষতি?
কাজের ধকল ও সংসারের দায়দায়িত্ব মিটিয়ে
প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ হয়েছে সংসার গড়তে
অনাগ্রহী।
এই অবস্থা হলে দেশের জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি
সঠিক থাকে কি?
পরিণতি? সেই দেশের জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির
হার তরতরিয়ে শূন্য থেকেও নীচে নেমেছে।
এখন সেই জাতিটা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে
'অদূর ভবিষ্যতে টিকে থাকবে কি'?