জাঁকজমক অনুষ্ঠান বাড়ি
তারি ভেতরে বাজছে সানাই
ভেতরে-বাইরে নজর কাড়ে আলোর রোশনাই।
ক’জন কুমারী পুষ্পস্তবক হাতে সারি বেঁধে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে অতিথিদের জানাচ্ছে অভ্যর্থনা।
ভেতরে খানাপিনার এলাহি বন্দোবস্ত।
দেখেছি পরনে সাদা ধবধবে ধুতি-পাঞ্জাবি,
পায়ে নাগরকটা চটি জুতো, হাতে এক লাঠি,
পোশাক আসকে বেশ পরিপাটি
বাবুমশাই, ঝাঁ-চকচকে এক গাড়ি থেকে নেমে
মাটিতে ঠক ঠক করে লাঠি ঠুকে
পৌঁছলেন ভিড়ে ঠাসা সে বাড়ি
তাকে ভেতর যাওয়ার পথ করে দিতে
সকলেই দু’ধারে গেল সরে।
বিশিষ্ট ব্যক্তি! জন প্রতিনিধি!
উদ্যোক্তা কি তার সমাদরের ত্রুটি রাখতে পারে?
তাকে বসার আসনও দিলো আগ বাড়িয়ে।
লোকে বলে, ভোজন-রসিক বলে তার খুব খ্যাতি।
খেতে ভালোবাসে রসনা তৃপ্তি করে।
কাল-বিলম্ব হলো না তার দেখে নিতে খাবার বন্দোবস্ত।
দেখলেন মস্ত বড়ো ভোজনশালা,
পালা করে ক'জন সহাস্যে করছে খাবার পরিবেশন
এ কাণ্ড দেখে অস্থির হলো তার মন।
পেটের ভেতর গুড়গুড় শব্দ হলো
তার মনে হলো ভুঁড়ি থেকে সমন এলো,
‘খেতে বসছো না কেন?
খেতে বসো, গোগ্রাসে গেলো যত পারো,
খাবার সময় কারো দিকে ফিরে দেখো না,
অহেতুক সময়ও নষ্ট করতে যেও না’।
বাবুমশাই দেরি করতে পারে এ ডাক পেলে?
অনতিবিলম্বে বসলেন গিয়ে খাবার টেবিলে।
খেতে বসে লাজ-লজ্জা? সেকথা ভাবলে কি চলে?
খেলেন সুস্বাদু সব খাবার, একেবারে গলা অবধি
এমনি অবস্থা তার ঢোক গেলারও সাধ্যি নাই।
পেট ফুলে ডাঁই, অস্বস্তি না-হয়ে পারে? হলোও তাই!
ভাবলেন উপায়?
যা খেলেন স্বস্তি পেতে সেসব কি উগরে দিতে হবে?