বলছে অনেকে,'এ নাকি এক অদ্ভুত আবহাওয়া!
এই অসময়ে ও লাগছে মাঘের শীতের ছোঁয়া
সান্ধ্য বাসরে বসবো কি শরীর ঠক ঠক করে কাঁপছে শীতে
গরম শাল শরীরে জড়ালেও শরীর উঠছে না তেঁতে
একটা উদ্দীপক দরকার গরম অনুভূত হয় যাতে'।
বলছে কাকাতুয়া একথা শুনে,'গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ থাকতে
সেই নিয়ে ভাবতে হবে না মোটে, ঠিকই জুটবে বরাতে।
বলছে পাখি,'এদেশে কম আছে কি যাদের নিয়ে দম্ভ করতে পারি?
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এই কাজের জন্য একেবারে তৈরি।
তারা বেছে নেবে এমন বিতর্কের বিষয়-ঠিক যেমন চা বা কফি!
বহু তর্ক-বাগীশ ও জুটিয়ে নেবে ওদের হাতে দিয়ে সুদৃশ্য মোড়কে ট্রফি।
বিতর্ক জমাতে হবে, উদ্দীপনা খেলার মাঠের চেয়ে কম কী!
ম্যাচ রেফারি বাঁশিতে ফুঁ দিলে তর্ক-বাগীশরা সেখানে জড়ো হবে বৈকি।
ওদের টগবগ করে না- ফোটালে চলবে নাকি?
রাঁধুনি আগুন উস্‌কে দিতেও তৈরি, হলে হোক একটু বেয়াদবি।
এ কাজে রাখবে না সে কোনও খামতি,
সব জুটিয়ে নিয়ে সে শুরু করবে পানীয়ের প্রস্তুতি।
যথাসময়ে মেশাবেন বিতর্কের বিষয়, যেমন চা বা কফি।
বিতর্কের শুরু হতেই ভূমিকম্পের মতো কাঁপবে মাটি,
কে, কবে আগে দেখেছে এমন উপাদেয় প্রস্তুতি?
খানিকটা সময় পর্দার অন্তরালে চলবে এই বিতর্ক
নির্যাস ঠিক মতো বের হয় কিনা সেদিকে রাঁধুনি সতর্ক।
ছেঁকে দিতে হবে ছিবড়ের মতো না-পছন্দের বাক-যোদ্ধাদের?
বটেই তো, দেশ উচ্ছন্নে যায় যাক
দেশের ভবিষ্যৎ যে দিকেই গড়াক,
এই পানীয় জমাতে বাদ দিতেই হবে ওদের
দেশের উন্নয়নের কথা ভাবা হয়েছে ঢের!
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ শানিত খড়্গ নিয়ে এ কাজের জন্য তৈরি
দেখাতে তাদের সব জারিজুরি!
জুতসই পানীয় পরিবেশনের আগে একটু চিনি?
এই কাজ করতে মোটেই ভুল করে না রাঁধুনি।
এবার নিশ্চয় জমবে ঠিক যেমন তপ্ত চা বা কফি,
সান্ধ্য-বাসরে এই পানীয় পরিবেশন করলে সকলে
কাপে চুমুক দিয়ে ওদেরকে বাহবা দেবে নাকি?