যতদূর জানি, রমণী রাতে সেরে রেখেছিল
দেবতার পূজার সব প্রস্তুতি, যেন সকালেই
দিতে পারে আহুতি।
প্রাতে স্নান সেরে নতুন পোশাকে দেবতাকে
অঞ্জলি দিতে যখনি সে মন্দিরে হাজির
তখন অন্য অনেকেও সেখানে জমিয়েছে ভিড়।
অধীর আগ্রহে সকলে অঞ্জলি দেবার অপেক্ষায়
ঠায় মন্দিরের চাতালে বসে বা দাঁড়িয়ে
শুনেছে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠ, দেখেছে দেবারতি,
দেবতার পুজাচর্নার আরও কত কী!
যখনি অঞ্জলি দেবার সময় ঘনিয়ে এলো
রমণীর নজরে এলো এক অদ্ভুত কাণ্ড!
ভাবলো সে, বরাত কি এতোই মন্দ
ক্ষীর নদীও হলো কি শুকিয়ে কাঠ?
মন্দিরের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে দেখলো,
দেবতাকে অঞ্জলি দেবার পুষ্পের ডালিতে
থরে থরে সাজানো বাসী ফুল-বেলপাতা,
শুকিয়ে গেছে ফুলের পাপড়ি ও বোঁটা,
এ অবস্থা দেখে তার সাথে আরও অনেকের
মগজে বাঁধলো বিভ্রাট,
বাসী ফুলে দেবতার পূজা ও অঞ্জলি?
করলো কী মালী?
রাত জাগা ফুলগুলোকে
পূজার জন্য তুলে আনেনি সাত সকালে?
ভাবলো সকলেই পূজা দিতে এলো যারা,
মালী সদ্য ফোটা ফুল তুলতেও ভুল করেছে কি?
কে জানে, অঘটন ঘটবে কি?
পূজারীও পূজা করছে কি দায়সারা?
তাদের অনেকের মনে বদ্ধমূল ধারণা হলো
হয়তো রাতে মালী হয়েছিল এমনি নেশা-চুর
ভোরেও ভাঙেনি ঘুম, কাটেনি নেশার ঘোর।
ভাবছে অনেকে, তাহলে উপায় কী?
বাসী ফুল দিয়ে দেবতাকে দেবে অঞ্জলি?
তাঁকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা হবে নাতো জলাঞ্জলি?
নাকি ভোট দিতে গিয়ে যোগ্য প্রার্থীর অভাবে
‘না-ভোট’ দেওয়ার মতোই তারা মুখ ফিরিয়ে
ঘরে ফিরে যাবে।