বহু আগেই হলো ভোর।
ঘোর নিদ্রায় মগ্ন ছিলাম সে সময়, বন্ধ দু’চোখ
খোলা ছিল বটে পুবের জানালা
দৃষ্টি নিক্ষেপ করার অক্ষমতায়
দার্জিলিং এসেও দেখা হয়নি সূর্যোদয়।
দায় চাপাবো আর কার কাঁধে?
কালের ভেলায় চাপলে এমন কত কী হয়।
আপসোস, অন্তরে জমিয়ে রাখতে হয়।
ঘুম ভাঙার পর উঠে বসে ভেবেছি,
কেন যে ঘুম ভাঙতে হলো দেরি
হয়তো গভীর রাত অবধি
মোবাইল ঘাটাঘাটির পরিণতি!  
ভেবেছি, বাড়াবাড়ি হলো নাকি?  
চোখমুখ ধুতে গিয়েও বিপত্তি
কে জানে ধরলো কী ভীমরতি!
অস্বচ্ছ দৃষ্টি, পা-বাড়াতে গিয়ে
হোঁচট খেয়েছি ড্রেসিং টেবিলে,
কালেভদ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে আগে।
আত্মরক্ষায় ধরতে চেয়েছি কোনও দৃঢ় অবলম্বন
খাঁচা থেকে জীবনধন যেন ফুঁস করে উড়ে না পালায়।
বিপত্তি সাথী হলে ঘটে কত কী!
সে সময় সে যেন ছুটে এসে করলো আলিঙ্গন।
পড়েছি মুখ থুবড়ে, একেবারে ড্রেসিং টেবিলের উপরে
জোর ধাক্কা লাগলো আরশিতে
যেন বোমারু বিমান ধাক্কা দিলো টুইন টাওয়ারে।
এমন কাণ্ড ঘটালে আরশি অক্ষত থাকে কি আর?
সেটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভেঙে হলো চুরমার।
আমারও মাথায় লাগলো বেশ
উঁহু-আ করে চিৎকার করবো কি?
মুখ থেকে ভোঁস ভোঁস করে বেরোলো দুর্গন্ধ
নিকাশি নালার হোসপাইপ দিয়ে
আবর্জনা বেরোনোর মতো ব্যাপার,
সারারাত মুখে দুর্গন্ধ জমলো যত।
বুঝেছি, দেরিতে ঘুম ভাঙার পরিণতি,
আপসোস করবো কত আর?
বোধোদয় হলো, যা ঘটতে চলেছে বারবার,
তাতে, হতেও পারে আরও বহু ক্ষতি!
নিয়তিকে দোষ দিয়েও লাভ কী?
নিজের ত্রুটি উপেক্ষা করা যায় কি?
বুঝেছি, দিনের শুরুতেই যা হলো
সারাদিন সামলে নিতে পারলে ভালো,
নয়তো আপসোস না করে
মুখ বন্ধ করে চুপ থাকাই শ্রেয়।