জানি, চেয়েছ খুঁজে পেতে রত্ন-খনি।
সে চেষ্টায় এ যাবত কোনো ত্রুটিও
রাখোনি, তবু এখনো বিশেষ সাফল্য
জোটেনি।
দেখো, বিজ্ঞরা অদূরে একত্রিত হয়ে
করছেন কানাকানি। বলছেন তারা,
নিষ্ঠা-সহকারে কাজে লেগে থাকলে
সাফল্য কি তখন আর ধরা না-দিয়ে
পারে?
দেখো, অদূরে ওই প্রাচীর ঘেরা মাঠে
রাতেও অনর্গল উড়ছে ছাই, পাঁকাল
মাছেরা যেন পাঁকে মারছে ঘাই।
আকাশ ছেয়ে গেছে কুণ্ডলী পাকানো
ব্যাপক ধোঁয়ায়, নর্তকী যেন নাচছে
হাওয়ায়।
এ দৃশ্য দেখে হয়তো উপলব্ধি করেছ
যে কাজে নেমেছ, সাফল্যের দীপশিখা
এখন আর নয় ক্ষীণ, সাফল্য পাওয়া
আর হবে না খুব কঠিন।
তবুও দাঁতে দাঁত চেপে করতে চেয়েছ
যখন অসাধ্যসাধন, কাজে লেগে থাকো।
খুঁজে পেতে পারো সাধারণ জনগণের
চুরি যাওয়া অজস্র ধন।
এখন আকাশ ছেয়েছে বিস্তীর্ণ ধোঁয়ায়।
কে জানে, এ ধোঁয়া আরো উড়বে কিনা?
সে সম্ভাবনা ফুঁকারে উড়িয়ে দেওয়াও
যায় না।
জানো নিশ্চয় এ প্রবচন, ‘যেখানে উড়ে
ছাই, উড়িয়ে দেখো সেই ছাই সেখানেও
মিলতে পারে বিবিধ রতন'।
মনে জাগে ভাবনা, যেভাবে বইছে হাওয়া
আর উড়ছে ব্যাপক ছাই, নাওয়া-খাওয়া
ছেড়ে সেই ছাইভস্ম গুলি নাড়াচাড়া করে
উড়িয়ে দিলে সেখানে পড়ে থাকতে পারে
এখন বহু মূল্যবান বিবিধ রতন।
বলি ওড়াও, উড়িয়ে দেখো সাফল্য আসে
কি তখন।