দেখেছি তাকে কল্পলোকে
মনে হলো সে ভারী অদ্ভুত, দ্যুতিও আছে বেশ!
আর সেটি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে
ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে ছড়িয়ে পড়ছে বহুদূর।
যতদূর মনে পড়ে
দেখেছি মায়ামৃগের মতো তার মায়া ভরা চোখ।
বুক ভরা কৌতূহলের উদ্দীপনায় জানতে চেয়েছি
এ রূপসী বাস্তবে আছে কোন দেশে?
সে অলীক ছলনাময়ী কিনা সেও জানা হলো না।
বলবো কী তার প্রকৃত স্বরূপ নিয়ে জিজ্ঞাসা
মনের জানালা দিয়ে যখন বাইরে দিলো উঁকি
কৌতূহল নিবারণে তাকে ছুঁতে গিয়ে
যা ঘটলো ভাবিনি আগে এমনও হতে পারে।
বলবো কী, যখন হাত বাড়িয়েছি
হাত গিয়ে ঠেকলো ঘরের দুয়ারে
মনে হলো রূপসী এ ঘরের ভেতরে।
কৌতূহল ছলাৎ ছলাৎ করে দাপিয়ে বেরলে
কে আর তাকে রুখতে পারে?
সেসময় আমারও হলো সে অবস্থা
ইচ্ছা হলো-না গুনতে আর অপেক্ষার প্রহর।
বিলম্ব না-করে ঠক ঠক করে দরজায় কড়া নেড়ে
ভেতরে ঢুকে হয়েছি হতবাক!
এ কী! হলো কী? ঢুকেছি কোথায়?
পৌঁছেছি কি কোনও রাজমহলের অন্দরে
কোনও এক আঁধার কুটিরে।
ভেবেছি, ‘সে যাই হোক ঢুকেছি যখন ‘গণতন্ত্র’ কে খুঁজতে
আজ তার স্বরূপ না-জেনে ফিরবো না’।
অদ্ভুত ব্যাপার!তখনি ঘটলো অবাক করা কাণ্ডখানা
তাকে খুঁজতে গিয়ে ভ্রান্তিতে আবারো
বারবার বাধা পেয়েছি ঘরের দেওয়ালে
ভেবেছি এ অবস্থা হলে শত চেষ্টা করেও কি
পৌঁছনো যায় তার ধারে কাছে?
হলো তাই, ভেতর থেকে তার দ্যুতি বেরিয়ে এলেও
তার কাছে পৌঁছনো গেল না।
বেদনাহত হয়ে ভেবেছি তখন
তাহলে ‘গণতন্ত্র’ কি এ ভুল-ভুলাইয়ার অন্দরে?
নাকি সে অলীক কল্পনা?