বাজার টা ছেয়ে গেছে
বহু ধরনের ভেজালে,
খদ্দের রা বন্দি এখন
ভেজালের বেড়াজালে।
দেখো জৌলুস বাড়ে
আনাজ দের রাঙালে,
খদ্দের রা আহ্লাদে মজে
সে সব হাতে পেলে।
আসল গুলো চিত হয়ে
পড়ে থাকে অনাদরে,
হাঁড়ি মুখ করে বিক্রেতা
তার মাথা কুটে মরে।
চোর-কাঁটা চোর নহে
সাদা জিরাতে মেশালে,
ভেজালের কারবারি রা
কদাচিৎ গেছে জেলে।
পেঁপের বীজ ও গোলমরিচ
একই রকম বাহারে,
মেশালে এই বীজগুলি কে
বাজারে কাটে সম দরে।
বলি, ইটের গুড়োকে সদা
রাবিশ বলতেও মানা,
লঙ্কার গুড়োতে মেশালে
তার কী কদর, জানো না ?
ভূত-পেত ছড়িয়ে আছে
আমাদের ই আশেপাশে,
সর্ষেতে ওরা না-পালিয়ে
বেশ রয়েছে মিলেমিশে।
দেখো ওরা সেজে গুজে
মজলিস করছে উল্লাসে,
সর্ষেতে মেশানো ভেজাল
শিয়ালকাঁটা র বীজ দেখে হাসে।
ফ্যাশনের দুনিয়ায় এখন
ভেজালের কদর খুব বেশি,
পলতে পলতে দেহত্বক খসে
ফর্সা যেন য়ুরোপ বাসী।
ভেজালের গল্পের বইগুলি
কেহ কি আগ্রহে পড়বে?
সেসব পড়লেই জনগণ
নিশ্চিত মাথা কুটে মরবে।
নীতিকথা, ছুঁৎ-মার্গ ছেড়ে
আজকাল বসে বসে কাশে,
চেয়ে দেখো বাজার এখন
কী চাঙ্গা ভেজালের বশে !