ভেবেছি আজ সাঁতার কাটবো ভিন্ন
স্রোতে।এই ভাবনা জাগলো বিগত
রাতে।বইছে নদীর জলধারা।সারা
শরীর দিয়েছি ভাসিয়ে।
আজ হেসে খেলে কিংবা হাবুডুবু
খেয়ে যে দিকে যেতে চায়,যাক গে
চেষ্টা করবো না সাঁতারুদের মতো
স্রোত প্রতিহত করতে।দেখি,কতদূর
যেতে পারে আর কী আছে বরাতে!
অবকাশে টক-ঝাল-মিষ্টি স্মৃতিদের
রোমন্থন করে চর্বিতচর্বণ করতে কার
না ভালো লাগে?নেমেছি সে কাজে।
বিগত রাতের ঘটনা।সমস্ত উদ্বেগকে
বিসর্জন দিয়ে মনে সেঁটে থাকা খুবই
ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধুবরের এক ম্যাসেজ
পড়ছি বসে।
দেখেছি সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে
তার পরামর্শ,যেন ভাবি আমার লেখা
কবিতা চলেছে কোথায়?সাথে কবিতাকে
যেন কাছে টানি,তা না-হলে পরবর্তী
প্রজন্মরা করবে কানাকানি।সন্দেহ নাই
ভালো উপদেশ।
যে কোন উপদেশ কিংবা গঠনমূলক
সমালোচনা মাথা পেতে মেনে নিতে
কোনও বিবেচক দ্বিধা-বোধ করে কি
কখনও?আমারও এ বিষয়ে সন্দেহের
উদ্রেক হয়নি মোটে।
গভীর রাত।জানালা খুলে দেখি,সব
তারাদের আঁখিগুলি করে মিটিমিটি।
জিজ্ঞেস করেছি তাদের,‘কিছু বলবে
নাকি?’
নক্ষত্ররা দেয়নি সারা।এবার বিবেকের
কড়া নেড়ে অলিন্দে এসে ভাবছি বসে,
‘কবি হলাম কবে?আদৌ এ বিষয়ে কি
সামান্য যোগ্যতা আছে?
অগাধ ভালোবাসা থেকে তার মূল্যায়ন,
কে জানে,কতটা বিশুদ্ধতা বজায় আছে!
যাক গে,দেখা যাবে শেষে কোন দিকে
কতদূর গেছি ভেসে!
সমাজের প্রতি সবার যেমন দায়বদ্ধতা
থাকে,সেই বোধ থেকে বাঞ্ছা-রাম যেভাবে
রোজ বুকে আগলে রাখতো তার বাগান,
সেভাবে অন্তরে আগলে রাখার ভাবনায়
রোজ মুষ্টিবদ্ধ পুষ্পকলির মতো সামগ্রী
আরাধ্য দেবীর পূজায় নৈবেদ্য দিতেই
তুলে আনি।
সেসব কবিতা হয় কিনা,কি জানি!তবু
অন্তরঙ্গ বন্ধুবরের পরামর্শ নিয়ে ভাবতে
ক্ষতি কি?ভেবেছি,গভীর রাত অবধি।
তারপর?
বলি,লিখেছি তাকে বিবেকবোধ থেকে
বেরিয়ে আসা কথাকলি,“আগেও ছিল
বটে তবে দ্রুত বাড়ছে সুযোগসন্ধানী।
পাশাপাশি কোটি কোটি শিক্ষিত যুবক
যুবতীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে টানাটানি।
যে দিকে যাচ্ছে সমাজ,খুব দ্রুত এই
পৃথিবীতে থাকবে না ভারসাম্য।সম্ভবত
সেটাই আগে ভাবা দরকার”।
যেটুকু হয়নি লেখা,সমাজ নিশ্চিহ্ন হলে
কবিদের লেখা কবিতা গুচ্ছ পড়বে কে
বা কারা?


(আসরের প্রিয় কবি-বন্ধু শরীফ এমদাদ
হোসেন মহাশয় অন্যান্য কবি বন্ধুদের মতো
নিয়মিত উৎসাহ প্রদান করে আমাকে বিভিন্ন
বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন।আজ এই কাব্য তার
সম্মানে আসরে উৎসর্গ করছি।)