রাত জেগে মঙ্গল কাব্য পড়ে সে জেনেছে,
দেবলোক থেকে মর্তে নেমে এসে মানুষের
পূজা পেতে দেবতাদের কাঠ,খড় পোড়াতে
হয়েছে।
তাছাড়াও চোখ রাঙানো সহ ভয় দেখানো,
নানাবিধ কূট কৌশল প্রয়োগ করা,ছলনার
আশ্রয় নেওয়া ওসব ও করতে হয়েছে।
বুঝেছে সে ওসব একেবারে সামান্য ব্যাপার।
আরও কত কী করতে হয়,যেখানে যেমন
দরকার।
সে জন্য বর্জন করতে হয় লজ্জা,ঘৃণা আর
ভয়।গড়িমসি না করে দ্রুত কাজে নেমেও
পড়তে হয়।সাথে সাথে মাথায় রাখতে হয়
গুণধর নারদের পরামর্শ।  
তাই সাধনা করেছে একটানা বারোটি বছর।
আরাধ্য দেবতার কাছ থেকে অর্জন করেছে
লজ্জা,ঘৃণা ও ভয় এই তিন বিষয়ে সর্বংসহা
হওয়ার বর।
তারপর শুরু হলো তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পথ
চলা।অদ্ভুত উল্লাসে ‘মিথ্যা’ ও ‘ছলনা’ এই
দুই রেলিং কে সে দুহাতে সুদৃঢ় ভাবে ধরে
রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানবিকতার
সিঁড়ির ধাপ গুলিকে দৃঢ় প্রত্যয়ে পায়ে দলে
উঠছে একে একে ক্ষমতার চূড়ার দিকে।
বিশ্রামের অবকাশ নেই।থাকতে হচ্ছে লক্ষ্যে
অবিচল।পৌঁছতে হবে একেবারে ক্ষমতার
চূড়ায়।
সেখানে পৌঁছতে হলে মুখে লাগবে কালি,
লোকে দেখবেই তার কপট মানবিক মুখ।
ভেবে দেখলো সে,মুখটা কালিমালিপ্ত হলেও
ক্ষতি কী?তাতেও তার রয়েছে সায়।এ যুগে
ক্ষমতার চূড়ায় যেতে গেলে এটুকু মানিয়ে
নিতেই হয়।