নগর, এই নদী, আকাশ-
সবকিছু ভাগ হয়ে যাক।
ধর্মে নিদান কর্মে, হিয়ায়-
একটা শুধু মানুষ বেঁচে থাক!


একটা শুধু মুখের জন্যে
হণ্যে হওয়া বন্য প্রাণ
বধির কি অধির কল্পে-
শুঁকছ, মানুষ পোড়া ঘ্রাণ!


তোমার শরীর রক্তে মাংসে-
অমুকের কি বালি’র
ধিক্কার! এ খোঁড়া শিক্ষার
আমার সনদ, কলম-কালির।


বুঁদ হয়ে নতজানু যারা
পাহারা দেবে কে আজ!
রাজার বেটা বাইজি খোঁজে
কে-তবে আসল ধর্মবাজ!


***কবিকথন/সংযুক্তিঃ
কবিতাটি সমসাময়িক বাংলাদেশের ধর্মীয় দাঙ্গা নিয়ে লেখা। বিশেষত, রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুবসতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ব্যাপক আলোড়িত করেছে আমায়। এছাড়াও কদিন যাবৎ হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজা মন্ডপে ভাঙ্গচুড়, হিন্দু বসতি উচ্ছেদ অপচেষ্টা, এবং এহেন কান্ডে ধর্মপ্রাণ প্রকৃত মুসলিমদের হৃদয়ে ররক্তক্ষরণ! সমগ্রই আমায় বেশ তাড়িয়েছে, ভাবিয়েছে। আসলে এগুলো কারা করছে, কেনো করছে, তা অস্পষ্ট। যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত রাষ্ট্র প্রকৃত দোষী’কে চিহ্নিত করতে পারে নি, তবে বেশ ক’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। অপরাধীর বিচার হোক। সম্প্রিতির বাংলাদেশে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অবসান হোক। হাসুক বাংলাদেশ, হাতে হাতরেখে বাঁচুক প্রতিটি প্রাণ….


সৈয়দপুর, ০২ কার্তিক , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (১৮.১০.২০২১), সকাল।